সরষে থেকে ভূত তাড়াতে হবে : ড. মিজানুর


প্রকাশিত: ১০:৫৭ এএম, ১৯ নভেম্বর ২০১৪

রাষ্ট্রের প্রকৃত জনগণরা অ-জনগণে রুপান্তরিত হচ্ছে। এ থেকে বেড়িয়ে আসতে হলে প্রথমে সড়ষে থেকে ভূত তাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। বুধবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নগর পথবাসী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় চিহ্নিত সমস্যা নিরসনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. মিজান বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের বাস্তবায়ন দেখতে চাই। আমরা চাই সমতা, ন্যায় বিচার এবং মানবতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ গড়ে উঠুক।

তিনি বলেন, পথবাসী জনগণের ক্ষেত্রে বর্তমান ঠিকানা না থাকায় অনেকেই জাতীয় পরিচয়পত্র পাচ্ছেন না এবং ভোটার হতে পারছেন না। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঠিকানা না থাকার অযুহাতে তাদেরকে সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন। কিন্তু আইনে এটা কোনো বাধা নয়। একজন মানুষ সে যেখানেই থাকুন না কেন তিনি তার নাগরিক অধিকার প্রাপ্য হবেন।

জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি আইনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এটি একটি জনবান্ধব আইন। তবে আইনের বাস্তবায়নকারীরা জনবান্ধব নয়। আমলাতান্ত্রিক জটিলতাই এর বড় বাধা।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের প্রকৃত জনগণরা অ-জনগণে রুপান্তরিত হচ্ছে। এ থেকে বেড়িয়ে আসতে হলে প্রথমে সরষে থেকে ভূত তাড়াতে হবে।

সভার বিশেষ অতিথি মো. ইসরাফিল আলম এমপি বলেন, বাংলাদেশে পথবাসীদের সংখ্যা কতো তার সঠিক হিসেব সরকারের কাছে নেই। ধারণা করা হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার হবে। তাদের অনেক নাগরিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। কিন্তু বিষয়টা যতোটা না আইনগত তার চেয়ে বেশি দৃষ্টিভঙ্গিজনিত। তাই সকলকে সচেতনতার বিষয়ে জোড় দিতে হবে।

তিনি বলেন, পথবাসীদের মধ্যে নারী এবং শিশু পথবাসীদের সমস্যটা বেশি। এজন্য সরকারের খাস জায়গাগুলোতে তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সেইসঙ্গে দুস্থ মানুষের জন্য সরকারি সহযোগিতা ঠিক ব্যক্তিকে দেয়া হলে এই সমস্যা কিছুটা কমবে।

সভায় পথবাসী মানুষের নাগরিক অধিকারের প্রতিবন্ধকতা নিয়ে ধারণাপত্র পড়ে শোনান ব্লাস্ট-এর অনারারি নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।