বিছিন্ন ঘটনায় বরিশালের ৬ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে
বিছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে বরিশাল জেলার ৬টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে। তবে কয়েকটি কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ করেছে বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা।
এছাড়া উজিরপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের পরমান্দ সাহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট পেপার সংকটের কারণে প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। বুধবার সকাল সোয়া ৮ টার দিকে এঘটনা ঘটে।
উজিরপুর পৌরসভার বিএনপির মেয়র প্রার্থী শহিদুল ইসলাম খান অভিযোগ করেন, পোলিং এজেন্টদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তিনি ওই কেন্দ্রে গিয়ে দেখেন ২শ ব্যালট পেপার কম। তিনি বিষয়টি প্রিজাইডিং অফিসার আবুল কালাম আজাদকে জানান। তিনিও গুনে ব্যালট পেপার কম পান। এসময় ভোটকেন্দ্রে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়।
উপজেলা রিটার্নিং অফিসার ঝুমুর বালা জানান, কেন ব্যালট পেপার কম হলো তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে মুলাদী পৌরসভার বিএনপির মেয়র প্রার্থী আসাদ মাহমুদ অভিযোগ করেন, তিনটি কেন্দ্র থেকে তার পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে।
একই পৌরসভার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তার এজেন্টদের সামনে নৌকা প্রতীকে সিল মারার কারণে তিনি সকল কেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্ট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
অপরদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়মী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে কেন্দ্র দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে পৌর বিএনপি।
পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম লাবু জানান, তারা নির্বাচন বর্জন কিংবা প্রত্যাখান নয়, পুননির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি নির্বচন কমিশনকে লিখিতভাবে অভিযোগ করে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, মেহেন্দীগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি জানান, ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট ছিনিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মারার কারণে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি নির্বাচন বর্জন করেছেন।
উল্লেখ্য, জেলার ৬টি পৌরসভায় ২৬৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সাইফ আমীন/এমএএস/এমএস