শ্লীলতাহানীর অভিযোগে রাবি শিক্ষকের দ্রুত শাস্তি দাবি


প্রকাশিত: ০২:৪৮ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষকরে বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ এনে শাস্তির দাবিতে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার দুপুরে প্রশসন ভবনের সামনে সমাবেশে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা এ আল্টিমেটাম দেন।

সমাবেশে তিন দিনেরর আল্টিমেটাম দিয়ে বক্তারা বলেন, এই সময়ের মধ্যে পুনরায় নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করে অনতিবিলম্বে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করার দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাইদুল ইসলাম রুবেল, রাবি শাখা ছাত্রলীগে সভাপতি মিজানুর রহমান রান, সহসভাপতি তম্ময়ান্দ অভি, আতিকুর রহমান সুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরীয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক কাওসার আহমেদ কৌশিক প্রমুখ।

অভিযুক্ত এটিএম রফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং বেগম রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষক।

যৌন হয়রানির ঘটনায় তদন্তে প্রশাসনের গঠিত কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠনের দাবিতে উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়। এর আগে ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, রোকেয়া হলের বর্তমান প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক রুবাইয়াত ইয়াসমিন অভিযুক্ত শিক্ষক এটিএম রফিকুল ইসলামের পক্ষ নিয়ে সাধারণ ছাত্রীদেরকে ও হলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে যৌন হয়রানির শিকার ছাত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করেছেন।

প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি দ্বারা নিরপেক্ষ তদন্ত সম্ভব হবে উল্লেখ করে বলা হয়, হলের বর্তমান প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক রুবাইয়াত ইয়াসমিন এবং রফিকুল ইসলাম ওই হলের আবাসিক শিক্ষক হিসেবে বহাল অবস্থায় কোনোমতেই নিরপেক্ষ তদন্ত সম্ভব নয়। তদন্ত শুরুর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পদ থেকে রফিকুুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করার পাশাপাশি রোকেয়া হলের বর্তমান প্রাধ্যক্ষ রুবাইয়াত ইয়াসমিন ও রফিকুল ইসলামকে আবাসিক শিক্ষকের পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে।

RU-pic
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, আন্দোলনরত ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে কোনোরকম আলাপ-আলোচনা ছাড়াই কর্তৃপক্ষ একক সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা, একজন সিন্ডিকেট সদস্য ও প্রক্টরকে নিয়ে যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে তা দিয়ে কোনোভাবেই নিরপেক্ষ তদন্ত করা সম্ভব হবে না। তাই তাই ছাত্র সংগঠনগুলোর এই তদন্ত কমিটির উপর কোনো আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা নেই।

এর আগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক ছাত্রী ও শিক্ষকের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তদন্তে ২৫ ডিসেম্বর একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে ছাত্র উপদেষ্ট অধ্যাপক ছাদকেুল আরেফিনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়।

এ কমিটিকে বাদ দিয়ে আন্দোলনরত ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য তদন্ত কমিটি গঠন করার দাবি জানানো হয়। এছাড়া অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম সঠিক বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে ওই স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে গত ২০ডিসেম্বর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে শাস্তির দাবিতে ভাষা বিভাগের (উর্দূ) ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

এরপর ২১ ডিসেম্বর অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট উল্লেখ করে উপাচার্য বরাবর পাল্টা অভিযোগ দেন অভিযুক্ত এটিএম রফিকুল ইসলাম।

রাশেদ রিন্টু/এমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।