গ্রামে এখন ছন-খড়ের বাড়ি দেখা যায় না: পরিকল্পনামন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:১৭ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০২১

বিএনপি নেতা ড. আব্দুল মঈন খানকে উদ্দেশ্য করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘হেলিকপ্টারে চড়ে গ্রামের বাড়িতে যান। দেখতে পাবেন গ্রামে খড় ও ছনের বাড়ি নেই। বর্তমান সরকার সবার জন্য উন্নয়ন করছে।’

সোমবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এলডিসি গ্রাজুয়েশন নিয়ে এক সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি নেতা ড. মঈন দেশের উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন তোলায় মন্ত্রী এ জবাব দেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমাজের মধ্যে ব্যালেন্স নেই। মাথাপিছু আয় বাড়লেও লাভ নেই, যদি আয়ের সমবণ্টন না হয়। দেশে ধনী গরিবের বৈষম্য বাড়ছে। মেধাবী তরুণরা দেশে থাকতে চায় না। সুযোগের অভাবে তারা এখানে মেধা চর্চা করতে পারে না।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ব্যাপক দুর্নীতি ও জবাবদিহিতার অভাব প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতাকে নষ্ট করে দিয়েছে। অনেকে টাকা তৈরির মেশিনে পরিণত হয়েছেন। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দেশে এসে ক্লান্ত হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। গণতন্ত্র না থাকায় সুশাসন হচ্ছে না। কাগুজে শান্তি বিরাজ করছে। মেগা প্রকল্প হচ্ছে ভালো কথা। কিন্তু এগুলোর ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তৈরি পোশাক ও রেমিট্যান্স ভালো হচ্ছে।

এসবের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকার রুট লেভেল থেকে উন্নয়ন করছে। দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। করোনা সংকটে রাতে না খেয়েছিল, এমন সংবাদ কোথাও দেখিনি।

বৈষম্য প্রসঙ্গে এম এ মান্নান বলেন, আমি বৈষম্যের পক্ষে নই। তারপরও বলবো, ইউরোপ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বলেন, সবখানে বৈষম্য আছে। বর্তমান সরকার রুট লেভেল থেকে উঠে আসা। সরকার সবার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করছে।

মন্ত্রী বলেন, কিছু জায়গায় মিস ইউজ যে হচ্ছে না তা কিন্তু নয়। কেন্দ্র থেকে ১০০ টাকা বরাদ্দ হলে তা ঠিকাদারের মাধ্যমে সাব-ঠিকাদারের হাতে যায়। সাব-ঠিকাদার আবার তার সাব-ঠিকাদারের হাতে দেয়। এভাবে নানা হাত বদলের মাধ্যমে ১০০ টাকা বরাদ্দ দিলে গ্রামে ১০ টাকা পৌঁছায়। তবে সরকার এ বলয় ভেঙে ফেলতে নানাভাবে কাজ করছে।

দেশের উন্নয়ন তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, সরকার স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন করেছে বলেই আয়ু বেড়ে ৭৬ হয়েছে। মাথাপিছু আয়ে ভারত ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে। প্রকৃত হিসাব করলে মাথাপিছু আয় ৩ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাবে। আমি বলতে পারি, পেছনে ফেরার সময় নেই। ২০৩০ সালে মাথাপিছু আয় ৪ হাজার মার্কিন ডলার ছাড়াবে।

সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের চেয়ারম্যান ড. মানজুর আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংলাপে অংশ নেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম, বিএনপি নেতা ড. আব্দুল মঈন খান প্রমুখ।

এমওএস/এমএইচআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।