বিভিন্ন বন্দরে ৩২ লাখেরও বেশি যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা
মহামারি করোনা সংক্রমণ আগের তুলনায় অনেকটা কমে এলেও দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ অন্যান্য বন্দরে (স্থল, সমুদ্র ও রেলস্টেশন) দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
২০২০ সালের শুরু থেকে এ বছরের ২০ নভেম্বর (শনিবার) পর্যন্ত বিভিন্ন বন্দর দিয়ে আগত ৩২ লাখেরও বেশি যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা (হেলথ স্ক্রিনিং) করা হয়। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ১০ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (কোভিড ইউনিট) ডা. মোহাম্মদ ইউনুস স্বাক্ষরিত করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কিত নিয়মিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের মাসখানেক আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিদেশফেরত প্রত্যেক যাত্রীর হেলথ কার্ড সংগ্রহ করা হয়। সেই সঙ্গে বিমান থেকে অবতরণের পর যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের পাশাপাশি জ্বর, ঠান্ডা ও কাশিসহ করোনার উপসর্গ রয়েছে কি না তা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
শনিবার পর্যন্ত বিভিন্ন বন্দর দিয়ে আসা সর্বমোট ৩২ লাখ চার হাজার ২৭৪ জন যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে হযরত শাহজালাল, চট্টগ্রামের শাহ আমানত ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে আগত ২৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৫৩ জন, স্থলবন্দরে ছয় লাখ ১৫ হাজার ৮৪০ জন, সমুদ্রবন্দরে এক লাখ ১৫ হাজার ১৫২ জন ও রেলওয়ে স্টেশনে সাত হাজার ২৯ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।
সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে নয় হাজার ৯৪৯ জন, স্থলবন্দরে ৯৫৬ জন ও সমুদ্রবন্দরে ১০৫ জনের হেলথ স্ক্রিনিং হয়। হেলথ স্ক্রিনিং শেষে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কাউকে হোম কোয়ারেন্টাইন কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
এমইউ/বিএ/এমএস