পার্বত্যাঞ্চলের কৃষি-শিল্পপণ্য বাজারজাত সুবিধা গড়ে তোলার সুপারিশ


প্রকাশিত: ০৬:০৪ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫

স্থানীয় জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য বিমোচন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পার্বত্য অঞ্চলের কৃষি-শিল্পপণ্য বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুবিধা গড়ে তোলার সুপারিশ করা হয়েছে। সোমবার ‘টংগ্যা’ নামে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আয়োজিত দিনব্যাপি এক সেমিনারে সরকারি ও বেসরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে এমন সুপারিশ জানানো হয়।

বেলা ১১টায় টংগ্যার সম্মেলন কক্ষে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির চেয়ারপারসন ও চাকমা সার্কেল চিফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়। এছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজল তালুকদার বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।

সেমিনারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উন্নয়ন সংগঠক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন টংগ্যার ডেভেলপমেন্ট রিসোর্স সেন্টার (ডিআরসি) প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর সুকান্ত চাকমা এবং প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্পের টিম লিডার স্বাগত ধর।

সেমিনারে বলা হয়, পার্বত্য এলাকায় যেমনি কৃষিজ, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পজাত পণ্যের উৎপাদন সহজ তেমনি দেশে এসব পণ্যের চাহিদাও প্রচুর। কিন্তু সুষ্ঠু বাজারজাত, সংরক্ষণ ও পরিবহনের পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় উৎপাদনকারীরা প্রকৃত মূল্য পান না। ফলে তারা এসব পণ্য উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন না। অথচ সুষ্ঠু বাজারজাত, সংরক্ষণ ও পরিবহনের পর্যাপ্ত সুবিধা থাকলে এখানকার উৎপাদিত কৃষিজ, বনজ, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প পণ্যের মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর দ্রুত দারিদ্র্য বিমোচন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হতো।

এ লক্ষ্যে প্রয়োজন সুষ্ঠু বাজারজাত ও পরিবহন সুবিধা গড়ে তোলা এবং এসব পণ্য সংরক্ষণের জন্য আড়ত ও প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প-কারখানা। কিন্তু বিনিয়োগ ও উদ্যোগের অভাবে তা কাজে লাগানো যাচ্ছে না।

চাকমা রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, কৃষক ও উৎপাদনকারীদের প্রয়োজনীয় উপকরণাদি সরবরাহ, কালেকশন সেন্টার স্থাপন এবং স্থানীয় ও বাইরে পরিবহনসহ বাজারজাতের সুবিধা গড়ে তোলা গেলে এসব পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর আত্মকর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক উপার্জন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হতো। পাশাপাশি সুষ্ঠু সংরক্ষণের জন্য স্থানীয়ভাবে আড়ত ও প্রক্রিয়াজাকরণ শিল্প-কারখানা স্থাপন দরকার।

এজন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও পার্বত্য জেলা পরিষদসহ সরকারি এবং বেসরকারি কর্তৃপক্ষকে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার সুপারিশ জানান তিনি।

সুশীল প্রসাদ চাকমা/এমজেড/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।