জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রুল
এক ধর্ষিতা শিশুর আবেদনের পরও তার পক্ষে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দ এ রুল জারি করে আদেশ দেন।
একই সঙ্গে ধর্ষিতা শিশুর আবেদনে কমিশন কেন চুপ ছিল এবং ২০১১ সালের মানবাধিকার কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকাশিত ‘ধর্ষণ, হত্যা বা এসিড নিক্ষেপ রাষ্ট্রীয় সংস্থা অথবা ব্যক্তি কর্তৃক সংগঠিত না হলে তা মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলে গণ্য হবে না’ বিষয়টিকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে। আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।
প্রসঙ্গত, গত বছর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে কবীর নামে এক যুবক। এ ঘটনায় গত বছরের ৩০ আগস্ট মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে দুই সপ্তাহের মধ্যে ধর্ষিতাকে বিয়ে করার শর্তে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল অভিযুক্তকে জামিন দেয়।
আসামি জামিনে ছাড়া পাওয়ায় ভিকটিম পরিবার ভয়ে পালিয়ে ঢাকায় চলে আসে। নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশের মুহুরী নকল কপি পাওয়ার জন্য তারা চিলড্রেন্স চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের দারস্থ হয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে আবেদন করেন। কিন্তু জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছ থেকে তারা কোনো প্রকার সহায়তা পায়নি।
এ বিষয়ে সহায়তা না করায় গত ১৭ জুন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করা হয়। তাদের নিকট থেকে নোটিশের কোনো জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।