আইসিসি প্রতিনিধি দলের সফর নিয়ে বিসিবির ব্যাখ্যা


প্রকাশিত: ১২:০২ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫

আগামী জানুয়ারির শেষ দিকে শুরু হতে যাচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আবারও বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি দেখতে এসেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) এবং ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) একটি প্রতিনিধি দল। যে সকল ভেন্যুতে যুব বিশ্বকাপের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সেগুলো পরিদর্শন করতে বাংলাদেশে এসেছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।

আইসিসির প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমরা অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ আয়োজন করছি, আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে তা বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগেও আইসিসির একটি দল এসেছিল বাংলাদেশে। আমরা যেসব ভেন্যুতে খেলাগুলোর আয়োজন করবো, ওই ভেন্যুগুলোর সর্বশেষ প্রস্তুতি এবং টুর্নামেন্ট চলাকালীন নিরাপত্তার বিষয়গুলো ভালোভাবে খতিয়ে দেখার জন্য তারা আবারও বাংলাদেশে এসেছে। আগেরবারের সফরে আইসিসি প্রতিনিধিদল বিভিন্ন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং নিরাপত্তা কমিটিসহ সবার সাথে বসেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় নিরাপত্তার জন্য যে পরিকল্পনা তা সরেজমিনে দেখার জন্য এবারও বাংলাদেশে এসেছেন তারা।’

তবে আইসিসির এই প্রতিনিধি দলে তিন জনের আসার কথা জানালেও, কারা কারা এসেছেন তা জানাননি বিসিবির প্রধান নির্বাহী। আইসিসির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দুই সদস্যের ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) নিরাপত্তা বিষেষজ্ঞও রয়েছেন বলে জানান তিনি। আইসিসির প্রতিনিধি দলটি ভেন্যু এবং হোটেলগুলো পরিদর্শন করবে। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তাদের।

অস্ট্রেলিয়া দলের প্রতিনিধি কেন এসেছে? এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘খুবই স্বাভাবিক, সদস্য দেশের মধ্যে কোনো দেশ যদি তাদের দল পাঠায় সে ক্ষেত্রে আসতেই পারে। আমরা সেভাবেই দেখছি বিষয়টা। এর আগে আইসিসির যে প্রতিনিধি দল এসেছিল সেখানেও দুই-একটি দেশের যারা নিরাপত্তার ব্যাপারটি দেখেন তারাও এসেছিলেন। এটা আমরা স্বাভাবিকভাবেই দেখছি।’

তবে বিসিবি থেকে অস্ট্রেলিয়া দলকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে না বলে জানান সুজন। ১৬টি দল অংশ নেয়ায় সবাই সমান সুবিধা পাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ হচ্ছে ইভেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন করা। তাদেরকে আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তার কথা জানিয়েছি। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। কোনো অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে এর বেশি কেউ করতে পারে, অতীতে এমন কোনো উদাহারণ ছিল না এবং আমরা যে নিরাপত্তা দিচ্ছি ভবিষ্যতে কেউ এমন করতে পারবে বলে আমার মনে হয় না।’  

আগামী ২২ জানুয়ারি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শুরু হয়ে শেষ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। বিশ্বের ১৬টি দেশের যুবাদের নিয়ে অনুষ্ঠিতব্য এই টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেনি অস্ট্রেলিয়া। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে না হলেও ৮-১০ তারিখের মধ্যে দুই একটি দল ঢাকায় চলে আসবে বলে জানান সুজন। এছাড়া বাকি দলগুলো ২০ তারিখের দিকে আসা শুরু করবে বলেও জানান তিনি।

আরটি/আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।