আজান শুনে অনুষ্ঠানস্থলেই নামাজ আদায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫৯ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০২১
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট খেলার মাঠে চলছিল ২৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অন্তর্গত ১২টি ইউনিটের সম্মেলন। বিকেল ৩টায় এ সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে বিলম্ব হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

এসময় বৃষ্টির তীব্রতায় মঞ্চের ছাদ বেয়ে চুয়ে পড়ে পানি। তারপরও অধীর আগ্রহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্য শুনতে অপেক্ষায় ছিলেন নেতাকর্মীরা। হঠাৎ পাশের মসজিদ থেকে ভেসে আসে মাগরিবের আজানের ধ্বনি। আজান শুনেই মঞ্চে থাকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক পাশে একটি চেয়ারে বসে নামাজ আদায়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু শনিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে এমন দুটি ছবি তার ফেসবুকে পোস্ট করেন।

jagonews24

ছবিতে দেখা যায়, একটি নীল রঙের চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে বৃষ্টির কারণে মন্ত্রীর পেছনে একজন ছাতা ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। নিরাপত্তার জন্য তার পাশে রয়েছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য।

শরীফ মাহমুদ অপু জাগো নিউজকে বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শত ব্যস্ততার মাঝেও নিয়মিত নামাজ আদায়ের চেষ্টা করেন।

jagonews24

এদিকে ওই সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে ওয়ার্ড-থানা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কমিটিতে যারা নেতৃতে যাবেন তাদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য এখানে ঢল নেমেছে। এই মানুষগুলোকে কেউ জোর করে এখানে আনেনি। সবাই এসেছেন নিজের ইচ্ছায়। তারা দেশকে ভালোবাসেন এবং তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত। তারা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অবিচল আস্থা রেখেছেন। বৃষ্টি হচ্ছে, মানুষ ভিজছে, তবুও কেউ অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হয়ে যায়নি। এটাই হলো দেশপ্রেমের নমুনা।

তিনি বলেন, যারা ষড়যন্ত্রের কথা মনে করেন তারা সেই দিন ভুলে যান। এই দেশের মানুষ আর কোনোদিন ধান্দাবাজি, ভেল্কিবাজিতে ভুলবে না। দেশের মানুষের হৃদয়ে আওয়ামী লীগ স্থান পেয়ে গেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছাড়া আর কাউকে নেতা হিসেবে চিন্তা করে না জনগণ।

টিটি/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।