ক্ষমতাসীনদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করে নির্বাচনে এসেছি
পৌর নির্বাচনকে সরকারের দূরভিসন্ধি উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীনরা ভেবেছিল বিএনপি নির্বাচনে আসবে না। তারা এককভাবে নির্বাচন করে জনপ্রিয়তা প্রমাণ করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দিয়ে নির্বাচনে এসেছি এবং নির্বাচনের ফলাফল পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো।’
তিনি বলেন, পৌর নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়ে আমরা বিজ্ঞাপন তৈরি করেছিলাম। কিন্তু সরকারের প্রভাবে কোন মিডিয়া সেটি প্রচার করতে সাহস পায়নি।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে কৃষকদলের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এ সব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল।
পৌর নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা সরকারের ফাঁদে পা দেই নি। আমরা দেখাতে চাই বাংলাদেশের মানুষ ধানের শীষের সাথে আছে। আওয়ামী লীগকে বর্জন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী সরকার গণতন্ত্রের মুখোশ পড়ে এক দলীয় কায়দায় দেশে চালাচ্ছে। এর মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের সামনের দিকে পাড়ি দিতে হবে এবং এ পথ মসৃন নয়। সাহস করে দাঁড়াতে হবে। জনগণকে সাথে নিয়ে গণতান্ত্রিক ভাবেই প্রতিরোধ করতে হবে। খালেদা জিয়ার নেতৃতে যেকোন মূল্যে গণতন্ত্র রক্ষা করবো।’
গণতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে এমন দাবি করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আমাদের সভা সমাবেশ করতে দেওয়া হয় না। এখন বলা হচ্ছে সভা করতে হলে পুলিশের অনুমতি লাগবে। এই হল বর্তমান গণতন্ত্র।’
কৃষকরা কৃষি কাজ ছেড়ে দিচ্ছেন এমন তথ্য দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আজ কৃষকেরা চরম অবহেলায় পড়ে আছে। তারা ন্যায্য মূল্য পায় না। অথচ জিয়াউর রহমান কৃষি ইনস্টিটিউট করে কৃষি কাজকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে স্বয়ংসম্পূর্ন করেছেন জিয়াউর রহমান।
পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির ৬ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষকদলের সহ সভাপতি এম এ তাহের, নাজিম উদ্দিন মাস্টার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তকদির হোসেন জসিম প্রমুখ।
এমএম/এআরএস/এমএস
