ঝালকাঠিতে পুলিশের ধাওয়ায় নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার
ঝালকাঠিতে পুলিশের তাড়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হওয়ার ১৪ ঘণ্টা পর মো. সুমন (২৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তাকে উদ্ধার করে।
এর আগে রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পর্নোগ্রাফি আইনে দায়ের হওয়া মামলার আসামি সুমন পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শহরের সিটিপার্ক রোডের হাবিব মিয়ার স-মিলের কাছে সুগন্ধা নদীতে ঝাঁপ দেয়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ।
পুলিশ জানিয়েছে, শহরের রোনান্সরোডের শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর বাসার সামনে অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বাদী হয়ে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি লিমন নকিব ও মো. সুমনসহ অজ্ঞাত আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে রোববার সকালে ঝালকাঠি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ঝালকাঠি থানার এসআই জসিম কাটপট্রি এলাকার বাসিন্দা মুজিবুর রহমান নকিবের ছেলে লিমন নকিবকে শহর থেকে গ্রেফতার করে এবং বাঁশপট্রি এলাকার সেকেন্দার আলীর ছেলে সুমনকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সুমন শহরের মসজিদ বাড়ি সড়ক থেকে দৌড় দিয়ে সিটিপার্ক রোডের হাবিব মিয়ার সমিল থেকে সুগন্ধ্যা নদীতে ঝাঁপ দেয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ ডিসেম্বর দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি লিমন নকিব, সুমন, স্টেশন রোডের মনিরসহ অজ্ঞাত দুই নারী এবং তিন পুরুষ ওই শিক্ষকের বাসায় ঢুকে পিস্তল ও চাকু দেখিয়ে তাকে উলঙ্গ করে ছবি তোলে এবং দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে তার কাছ থেকে ২৭ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়।
তবে সুমনের পরিবার দাবি করেছে, সুমন সাঁতার জানতো। ঝালকাঠি থানার এসআই জসিমের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে সে দৌড় দেয় এবং জীবন বাচঁতে নদীতে ঝাঁপ দেয়। নদীতে পড়ে যাওয়ার পর সে বাঁচার জন্য আকুতি জানালেও পুলিশ তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেনি।
আতিকুর রহমান/এসএস/এমএস