শেরপুরে যৌতুক ও বাল্যবিয়ে রোধে বাউল গান
বাল্যবিয়ে শিশুর অমিত সম্ভবনাকে বাধাগ্রস্ত করে। যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি। নারী নির্যাতন উন্নয়নের অন্তরায়। আসুন সবাই মিলে বাল্যবিয়ে, যৌতুক এবং নারী নির্যাতনকে ‘না’ বলি। বাউল গানের সুরে সুরে গল্পাকারে বাল্যবিয়ে, যৌতুক ও নারী নির্যাতনের ভয়াবহতা তুলে ধরে সকলকে এর থেকে মুক্ত থাকার আহ্বান জানান বাউল শিল্পী মোজাফ্ফর বয়াতি ও তার দল।
শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সদর উপজেলার পাকুরিয়া ইউনিয়নের পাকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ বাউল গানের আসর অনুষ্ঠিত হয়। ‘১৮ বছরের আগে বিয়ে নয়’-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নাগরিক সংগঠন ‘জনউদ্যোগ’ শেরপুর কমিটি বাল্যবিয়ে, যৌতুক ও নারী নির্যাতন রোধে সচেতনতামূলক এ বাউল গানের আসরের আয়োজন করে।
বাউল গান শুরুর আগে ‘জনউদ্যোগ’ শেরপুরের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এ সংক্রান্ত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা বেগম বলেন, বাল্যবিয়ের কারণে শিশুদের শিক্ষালাভ বাধাগ্রস্ত হয়, বিশেষ করে কন্যা শিশুদের। অপরিণত বয়সে বিয়ে হওয়ায় বাড়ছে মাতৃমৃত্যু, শিশু মৃত্যুর হার। এজন্য বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনাও বাড়ছে। যৌতুকের কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। তাই সবাই মিলে বাল্যবিয়ে, যৌতুক ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
তিনি জানান, খুব শিগগিরই শেরপুর সদর উপজেলাকে বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণা করার জন্য উপজেলা পরিষদের সভায় প্রস্তাব তোলা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এ আর এম ওয়াহিদুজ্জামান, পাকুরিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক শিব শংকর কারুয়া, সাংবদিক সঞ্জিব চন্দ বিল্টু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান, জেলা বালিকা শিশু পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক বেলাল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাউল গান শেষে রাতে অনুষ্ঠানস্থলে জেলা তথ্য অফিস ‘বালিকা বধূ’ ও ‘পুতুল খেলার বয়স যখন’ নামের দু’টি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করে।
হাকিম বাবুল/বিএ