পিরোজপুরে বাপ-দাদার ভিটায় নচিকেতা
ওপার বাংলার জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নচিকেতার বাপ-দাদার বাড়ি বাংলাদেশের পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায়। এছাড়া ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার চেচরীরামপুর গ্রামে রয়েছে তার মামার বাড়ি। যেখানে তিনি জন্মেছিলেন। সোমবার হঠাৎ করেই এই শিল্পী নিজের বাপ-দাদার ভিটা ও জন্মভিটা দেখার জন্যে হাজির হন।
সোমবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে ভান্ডারিয়ার বিহারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নামেন নচিকেতা। খবর পেয়ে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও স্কুল কর্তৃপক্ষ শিল্পীকে স্বাগত জানান।
এসময় নচিকেতা বিহারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ঘুরে ঘুরে দেখেন। এক সময় এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন নচিকেতার দাদু ললিত কুমার গাঙ্গুলী। খানিকটা সময় স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন তিনি।
সেখান থেকে উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়িতে করে নাচিকেতা ভান্ডারিয়া শহর থেকে সাড়ে চার কিলোমিটার দূরে চেচরীরামপুর গ্রামে তার জন্মভিটা সেই গাঙ্গুলী বাড়িতে যান। গাঙ্গুলী বাড়ির ঐতিহ্যবাহী দিঘী ও বমনের খালের পাড়ে বসে কিছু সময় কাটান।
এদিকে, নচিকেতার আগমনের খবর ছড়িয়ে পড়লে কয়েক হাজার গ্রামবাসী তাকে একনজর দেখতে সেখানে ভিড় জমান।
নচিকেতা বলেন, ‘সাতচল্লিশে দেশ ভাগের আগেই বাবা সবা রঞ্জন চক্রবর্তী ও মা লতিকা চক্রবর্তী ভারতে গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। এরপর আর নিজ ভূমিতে ফেরা হয়নি আমাদের। কয়েকদিন আগে ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসার পর জন্মভিটার প্রতি মায়া বেড়ে যায়।’
সেই মায়ার টানেই তিনি ছুটে আসেন ভান্ডারিয়ায়। কেননা এখানেই আমার শেকড়। সরকার যদি সে জমি উদ্ধার করে একটি হাসপাতাল করে তাহলে আমি খুশি হব। এরপর গাড়িতে করে তিনি তার জন্মভিটা কাঁঠালিয়া উপজেলার চেচরীরামপুর গ্রামের মামাবাড়িতে যান।
নচিকেতা তার জন্মভিটায় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী কাটিয়ে ভান্ডরিয়া শহরে ফেরেন। এরপর খানা প্রশাসনের দেয়া আপ্যায়নে অংশ নিয়ে বিকেল চারটার দিকে আবার হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় ফেরেন।