আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীই চায় ৬৮ কোটি
আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন পরিচালনার জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য ৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখলেও এ বাহিনী থেকে ৬৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা চাওয়া হচ্ছে। এজন্য বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে ইসি।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পৌর নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পাঁচটি খাতে এ অর্থ অগ্রিমভাবে অর্থমঞ্জুরির জন্য ইসি সচিবালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত পুলিশের অর্থ বরাদ্দ সংক্রান্ত চাহিদা ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখায় পাঠানো হয়।
তবে বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আনসার এখনো তাদের চাহিদাপত্র পাঠায় নি। এ নির্বাচনে ৭৩ হাজার ৭৮০ জন সদস্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে।
ইসির বাজেট শাখার কর্মকর্তারা জানান, প্রতিটি নির্বাচনে পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে অতিরিক্ত বরাদ্দ চাওয়া হয়। কমিশন বাস্তবতা বিবেচনা করে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেয়। এবার পৌর নির্বাচনের জন্য ৬৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা পাঁচটি খাতে বরাদ্দ চেয়েছে সংস্থাটি। এর মধ্যে ৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা থাকবে শুধু গোয়েন্দা কার্যক্রমে। এ নির্বাচনে পুলিশের সাড়ে ৭৩ হাজার সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। সব মিলিয়ে লক্ষাধিক নিরাপত্তা সদস্য থাকবে ২৩৩ পৌরসভার কেন্দ্রে ও টহলে।
একই সঙ্গে ভোটের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় বাহিনী মোতায়েনের একটি খসড়া পরিকল্পনা পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, পৌরসভায় ৭৩ হাজার ৭৩০ জন সদস্য নিয়োজিত থাকবে। তাদের ভাতা বাবদ প্রায় ১১ কোটি ৪২ লাখ টাকা, যানবাহন বাবদ ৩৬ কোটি ১২ লাখ টাকা, অন্যান্য ব্যয় ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা, শুকনো খাবার ৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা এবং গোয়েন্দা কার্যক্রমে ৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ইসির চাহিদা অনুযায়ী নিরাপত্তা পরিকল্পনা রেখেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, বিজিবি, র্যা ব, এবিপিএন, কোস্টগার্ড বহাল রাখা হয়েছে। ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিজিবি থাকবে ১০২ পৌরসভায়। এসময় নির্বাহী ও বিচারকি হাকিম তাদের টহলে মোবাইল ও স্ট্র্যাইকিং ফোর্সের নেতৃত্ব দেবেন।
প্রতি পৌরসভায় স্ট্র্যাইকিং ফোর্স একটি, মোবাইল টিম একটি থাকবে। র্যাবের ৮১টি টিম (ব্যাটালিয়ন সদরে ৫৬ ও র্যাব সদরে ২৫), ১০২ এক প্লাটুন করে বিজিবি এবং ছয়টি পৌরসভায় এক প্লাটুন কোস্টগার্ড নিয়োজিত রাখার কথা বলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ইসির বাজেট শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, তারা যে দাবি করুক না কেন ইসি বিবেচনা করে নির্দিষ্ট বরাদ্দ দেবে। কারণ, আইন শৃঙ্খলায় ইসির বরাদ্দ রয়েছে ৫৫ কোটি টাকা। এর বাইরে যাবে না ইসি। ভোটকেন্দ্র ও টহলের সদস্য নিয়ে এক লক্ষাধিক সদস্য থাকবে। পুলিশ ও আনসার বেশি থাকবে।
৩০ ডিসেম্বর ২৩৩ পৌরসভায় ভোট হবে। এতে ১২ হাজারের বেশি প্রার্থী রয়েছে। নির্বাচন কমিশন এ ভোটে সেনা না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এএইচএস/এসএইচএস/আরআইপি