জিপি কৃষিসেবা : কৃষকের সুদিন শুরু
প্রযুক্তির ব্যবহার ও তথ্যগত সেবাদানের মাধ্যমে কৃষিনির্ভর ১৫ কোটি মানুষের প্রয়োজন মেটাতে গ্রামীণফোনের ক্রমাগত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কৃষিভিত্তিক তথ্যসেবা জিপি কৃষিসেবা ২৭৬৭৬ চালু করেছে গ্রামীণফোন। বুধবার বগুড়ার নাজ গার্ডেন-এ উপলক্ষে একটি সংবাদ সম্মেলনে জিপি কৃষিসেবা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়।
এ সেবার মাধ্যমে কৃষকরা কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন। কাস্টমাইজড ভয়েজ কনসালট্যান্সি বা মুঠোফোনে পরামর্শ সেবা প্রদানের মাধ্যমে কৃষকদের এ সেবা দিবে গ্রামীণফোন। এ সেবা ব্যবহার করে কৃষকরা শস্য উৎপাদন, শাক-সবজি, মৎস্য ও গবাদি পশুপালন এবং পুষ্টিসহ প্রয়োজনীয় সকল বিষয়ে তথ্য পাবেন।
যেকোনো গ্রামীণফোন নম্বর থেকে ২৭৬৭৬ নম্বরে কল করে কৃষককে তার এলাকা এবং পছন্দের শস্য/মাছ/গবাদি পশুর নাম নির্বাচনের মাধ্যমে এ সেবায় নিবন্ধন করতে হবে। একজন কৃষক সর্বোচ্চ তিনটি টাইপ বেছে নিতে পারবেন।
কৃষক যে অঞ্চলে অবস্থান করছেন সেই অঞ্চলের সাথে মিল রেখে তিনি যে শস্য/মাছ/গবাদি পশু উৎপাদন করতে চান সে বিষয়ে তথ্য দেয়া হবে। পাশাপাশি, শস্য বর্ষপঞ্জি এবং ঋতুর সাথে সামঞ্জস্য রেখেও তথ্য দেয়া হবে। তাই রাজশাহী অঞ্চলের কোনো কৃষক যদি তার এলাকার আবহাওয়া অনুযায়ী তেলাপিয়া মাছ চাষের তথ্য জানতে চান তাহলে জিপি কৃষিসেবা শস্য বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী তথ্য দেবে। এই তথ্য হবে আই ভি আর (ইন্টারেক্টিভ ভয়েস রেসপন্স) এবং ভয়েস ম্যাসেজভিত্তিক যা তারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাবেন। এ সেবা পেতে প্রতি সপ্তাহে খরচ হবে পাঁচ টাকা। এছাড়াও গ্রাহকরা এগ্রো কল সেন্টারে ফোন করে কৃষি বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলতে পারবেন প্রতি মিনিট ৩ টাকা করে। এই সেবার জন্য নিবন্ধিত গ্রাহকরা যেকোনো অপারেটরে ১ পয়সা সেকেন্ডে কল করতে পারবেন।
এছাড়াও এ সেবার জন্য নিবন্ধনকৃত যেকোনো কৃষক লাল তীর বীজের প্যাকেট কিনে বিনামূল্য ইউএসএসডি মেনুর মাধ্যমে বীজের প্যাকেটটি আসল কিনা কিংবা ক্রয়কৃত বীজের প্যাকেটে কোনো ভেজাল আছে কিনা সে বিষয়ে জানতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত গ্রামীণফোনের এক্সটারনাল কমিউনিকেশনস প্রধান তালাত কামাল বলেন, কৃষিসেবার পরীক্ষামূলক পর্যায়েই প্রায় ১২ হাজার কৃষক সেবা নেয়ার জন্য নিবন্ধন করেছে। পরীক্ষামূলক পর্যায় থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে নতুন সংস্করণে প্রয়োজনীয় আরো তথ্য যোগ করে এই সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন সম্প্রতি করা হয়েছে।
জিপি কৃষিসেবায় কন্টেন্ট পার্টনার হিসেবে আছে উইনমিয়াকি লিমিটেড। এছাড়াও, কৃষি বিষয়ক অন্যান্য সংস্থা ও অংশীদারেরা এ প্রকল্পে কাজ করছে। কৃষি ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বৃদ্ধিতে কৃষি বিশেষজ্ঞ, কৃষি সম্প্রসারণ সংগঠন ও কৃষিপণ্য বিক্রেতাদের একটি সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার উদ্দেশ্য নিয়েই এই প্রকল্প।
লিমন বাসার/এসএইচএস/আরআইপি