ডিমলায় স্বেচ্ছাশ্রমে মাটির বাঁধ নির্মাণ
নীলফামারীর ডিমলায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে স্বেচ্ছাশ্রমে যৌথ বাধ নির্মাণ করা হচ্ছে। বাধটি নির্মাণের ফলে তিস্তা পাড়ের ২০ হাজার পরিবার বন্যার পানি থেকে রক্ষা পাবে।
এ বাঁধটির দৈর্ঘ্য ধরা হয়েছে ২ হাজার ফিট। ইতোমধ্যে বাঁধটির ১ হাজার ফিটের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এলাকাবাসী সকলের সহযোগিতায় বাঁধটি নির্মাণ করা হচ্ছে। বাঁধটি নির্মাণে এলাকার লোকজন বাঁশ, বালুর বস্তা ও স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছে। বাঁধটি নির্মাণে নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম ১ লাখ, ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন।
স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধটি নির্মাণ হলে নীলফামারীর টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের একতার বাজার, চরখড়িবাড়ী, ঝিঞ্জির পাড়া, লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গুড্ডিমারী ও বাউরা ইউনিয়নের ২০ হাজার পরিবার তিস্তার বন্যার পানি থেকে রক্ষা পাবে।
এলাকাবাসী নূর মিয়া, আব্দুস কাশেম, মফিজার রহমানসহ অনেকেই জাগো নিউজকে বলেন, ভারত উজানে বাঁধ দেয়ার ফলে টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের ১-৫ নং ওয়ার্ডে এবং লালমনিরহাট জেলাধীন হাতিবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান গ্রামসহ এবারের বন্যায় বিশ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবারে যদি বাঁধটি দেয়া না হয় তাহলে এতোগুলো পরিবারকে আশ্রয় নিতে হবে `আশ্রয়কেন্দ্রে`।
টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাঁধটির উদ্যােক্তা ময়নুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, এলাকার সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। বাঁধটি নির্মাণে খরচ হবে ৮-১০ লাখ টাকা।
নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার জাগো নিউজকে বলেন, বাঁধটি সঠিকভাবে নির্মাণ করা হলে তিস্তার বন্যার কবল থেকে কয়েকশত হেক্টর জমির আমনক্ষেত বন্যার পানি থেকে রক্ষা পাবে। বাঁধটি নির্মাণের ফলে তিস্তা ব্যারাজের উজানের ২০ হাজার পরিবার বন্যার পানি থেকে রক্ষা পাবে।
জাহেদুল ইসলাম/এসএস/এমএস