রাসেলের হত্যা নিয়ে কথা বলায় রাতারাতি বদলি করা হয়: মন্ত্রী
আমি চট্টগ্রামের ডিসি ছিলাম ১৯৮৮ সালে। শেখ রাসেল স্মৃতি পরিষদের ব্যানারে শেখ রাসেলের হত্যা নিয়ে কথা বলেছিলাম। এই হত্যাকাণ্ড কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। এর পরেই রাতারাতি আমাকে চট্টগ্রাম থেকে বদলি করা হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সোমবার (১৭ অক্টোবর) নগরীর আগারগাঁও এনইসি সম্মেলন কক্ষে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে ডিসি থাকার সময় শেখ রাসেলের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছিলাম। এই সংবাদ চট্টগ্রামের পত্রিকা দৈনিক পূর্বকোণ ও দৈনিক আজাদীতে বড় করে ছাপা হয়। এর পরে আমাকে রাতারাতি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় বদলি করা হয়। আমার স্ত্রীকে চট্টগ্রামে রেখে একা ঢাকায় চলে আসি। ঐ সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের কাছে আমাকে জবাবদিহি করতে হয়। আমি তো রাজনীতিবিদ নই, আমলা হয়ে কেন এমন কথা বললাম, তার জবাব চাওয়া হয়। কেবিনেট সচিব আমাকে বলে, তুমি কি নেতা হয়ে গেছো?’
শেখ রাসেলের হত্যাকাণ্ডকে ইতিহাসের জঘন্যতম ঘটনা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সবার কাছে শিশুরা আদরের। এমনকি পশু-পাখির মধ্যেও। অথচ আমরা এমন একটা জাতি যে শিশু শেখ রাসেলকে হত্যা করলাম। এই নিষ্ঠুরতা মেনে নেওয়া যায় না। স্বাধীনতা ছাড়া আমাদের তেমন কোনো অর্জন নেই। ১৫ আগস্ট ও কারবালা আমাদের কাছে লজ্জার।
তিনি আরও বলেন, শেখ রাসেল আমার চেয়ে ২০-২৫ বছরের ছোট। এক অদম্য প্রাণ। রাসেল আমাদের জন্য অনেক অবদান রাখতে পারতো অথচ তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। এটা অনেক লজ্জার ও ঘৃণার। বাঙালি নামটি সামনে এলেই এই ঘৃণা আমাদের সামনে ভেসে ওঠে। রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে আমরা ইতিহাস থেকে দেখেছি। তবে ১৫ আগস্টের মতো এমন জঘন্য ঘটনা দেখিনি। এই পাপবোধ আমাদের আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) ড. বিনায়েক সেন, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, শরিফা খান প্রমুখ।
এমওএস/এমএইচআর/এএসএম