এবার ১৬ মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়ে প্রশ্ন


প্রকাশিত: ০২:২০ এএম, ১৮ নভেম্বর ২০১৪

চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা করেননি, অথচ মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সুবিধাও নিয়েছেন বা কেউ কেউ সুবিধা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। এর আগে মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও ভুয়া সনদের মাধ্যমে পাঁচ সচিবের পর এবার আরও সচিবসহ এ রকম অন্তত ১৬ জন কর্মকর্তার রয়েছেন বলে প্রথম আলো`র এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়, সচিবসহ এ রকম অন্তত ১৬ জন কর্মকর্তার নাম জানা গেছে। তাঁদের মধ্যে নয়জন বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন। ওই ১৬ কর্মকর্তার কেউই নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা না করলেও সনদ নিয়েছেন। কেউ কেউ এখন সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

এর আগে পাঁচ সচিব একইভাবে সনদ নিয়ে বিতর্কিত হন। পরে তাঁদের মধ্যে চারজনের সনদ বাতিল করা হয়।

জনপ্রশাসনের এই ১৬ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা হলেন- কৃষিসচিব এস এম নাজমুল ইসলাম, প্রবাসী ও কর্মসংস্থানসচিব খোন্দকার শওকত হোসেন, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব কাজী আখতার হোসেন, ওএসডি সচিব নুরুল হক, সাবেক সচিব ও বিটিআরসির চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস, রাজউকের চেয়ারম্যান জি এম জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত সাহাব উল্লাহ, পিএসসির সদস্য মাইন উদ্দিন খন্দকার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব শেখ মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, সদ্য অবসরে যাওয়া সচিব ফণীভূষণ চৌধুরী, সাবেক জনপ্রশাসনসচিব এ এস এম আলী কবীর, সাবেক মুক্তিযুদ্ধসচিব ফিরোজ কিবরিয়া, ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম আজিজুল হক, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব খলিলুর রহমান ও ক্যাডারবহির্ভূত সাবেক কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হোসাইন।

নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা না করলেও এই কর্মকর্তাদের কেউ কেউ সনদ নিয়ে অতিরিক্ত এক বছর চাকরি করেছেন বা করছেন। কেউ কেউ অবসরে যাওয়ার এক বা দুই বছর আগে এ সুবিধা নিয়েছেন। তবে চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা করেছেন, এমন অনেক কর্মকর্তা এ সুবিধা ভোগ করছেন। তাঁদের নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।

এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান, চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময়ই কোনো সরকারি কর্মকর্তা নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা না দিয়ে এখন যদি মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেন বা সনদ দেখিয়ে এক বছর বাড়তি চাকরির সুবিধা নেন, সেটা প্রতারণার শামিল। হয় তাঁরা চাকরিতে যোগদানের সময় মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন, নয়তো এখন মিথ্যা বলছেন -দুটোই অপরাধ।

তিনি আরও জানান, এ ধরনের সব সনদ খতিয়ে দেখা হবে। যাচাই-বাছাই করে ভুল তথ্য পাওয়া গেলে ২০১০, ২০১১ ও ২০১৪ সালে জারি করা প্রজ্ঞাপনের আলোকে সনদ বাতিল করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।