বাংলাদেশে দ্বিতীয় পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে আগ্রহী রাশিয়া

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৫৭ এএম, ১৪ অক্টোবর ২০২১

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পর বাংলাদেশে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে আগ্রহী রাশিয়া। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত এ আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভিকেন্তিয়েভিচ ম্যান্টিটস্কি সাক্ষাৎ করেন। সেসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে এ আগ্রহের কথা জানান।

একই সঙ্গে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যকার বিভিন্ন চুক্তির কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত সেগুলোর হালনাগাদ করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান। তিনি জানান, উভয়ে বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার ক্ষেত্র বিস্তৃত করার ওপর গুরুত্বরোপের পাশাপাশি কৃষিখাতের সুযোগসমূহ অন্বেষণে সম্মত হন।

এদিকে, সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সহযোগিতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্রে সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পাটশিল্পে রুশ বিনিয়োগকে স্বাগত জানাবে।’

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সমর্থনের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুদ্ধকালে যে দেশ আমাদের দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছে, তারা আমাদের হৃদয়ের বিশেষ জায়গায় রয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বাংলাদেশ সফরে এলে আমরা খুশি হবো।’

জবাবে রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভিকেন্তিয়েভিচ ম্যান্টিটস্কি বলেন, ‘আমি ২০ বছর আগে ঢাকা এসেছিলাম। কিন্তু দেশের বর্তমান অগ্রগতি ও উন্নয়ন ব্যাপক ও উল্লেখযোগ্য।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও রাশিয়ার বন্ধুত্বের শুরু ১৯৭১ সালে, কারণ তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়া দেশটির প্রতি সহেযাগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য ব্যাপকভাবে বেড়েছে।’

সাক্ষাৎকালে অ্যাম্বাসেডর এট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।

এএএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।