শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল দিবস পালনের নির্দেশনায় ‘নেই কর্মসূচি’
সরকার প্রতি বছরের ১৮ অক্টোবরকে ‘শেখ রাসেল দিবস’ ঘোষণা করেছে। এ দিনটি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে পালন করার নির্দেশনা দেওয়া হলেও কর্মসূচি কী হবে, সে বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এছাড়া দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ১১ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত দুর্গাপূজার ছুটি হওয়ায় দিবসটি পালন নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে একটি নির্দেশনা জারির মাধ্যমে প্রতি বছরের ১৮ অক্টোবর ‘শেখ রাসেল দিবস’ পালন করতে বলা হয়েছে।
মাউশির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সরকার প্রতিবছর ১৮ অক্টোবর এ দিবস পালন করবে। শেখ রাসেল দিবস পালন/উদযাপনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২৭ সেপ্টেম্বরের এক পরিপত্রের ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্তকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত প্রতিপালনের জন্য সব দপ্তর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের অভিযোগ, দেশে প্রথমবারের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল দিবস পালন করতে নির্দেশনা দেওয়া হলেও পূজার ছুটিকালীন কীভাবে দিবসটি পালন হবে, এর কর্মসূচি কী হবে, সে বিষয়ে কোনো গাইডলাইন দেওয়া হয়নি। তার ওপর আগামী ১১ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত দুর্গাপূজার ছুটি থাকবে, ছুটিতে অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যাবে। এ কারণে আগামী ১৮ অক্টোবর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল দিবস পালন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
শিক্ষকরা বলছেন, দিবসটিকে ঘিরে মাউশির সংশ্লিষ্টদের গুরুত্ব না থাকায় এ ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদের খামখেয়ালিপনার কারণে এমন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ দিবসটি কীভাবে পালন করা হবে, সে বিষয়ে দ্রুত গাইডলাইন প্রকাশের দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম রনি শনিবার জাগো নিউজকে বলেন, শেখ রাসেল দিবস স্কুল-কলেজে পালন করতে বলা হলেও কীভাবে সেটি পালন করা হবে, সে বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা নেই। এটি খুবই দুঃখজনক, আমরা এর নিন্দা জানাই।
তিনি বলেন, ১১ থেকে ২০ অক্টোবর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূজার ছুটি থাকবে, এ সময় কাউকে ডেকেও পাওয়া যাবে না। আগে থেকে এ বিষয়ে গাইডলাইন দেওয়া না হলে স্কুল-কলেজে শেখ রাসেল দিবস পালন করা কঠিন হয়ে পড়বে। এ দিবসটিকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর অবহেলার চোখে দেখছে। এ কারণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষকরা। দ্রুত এ দিবসের কর্মসূচি ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তারা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গাইডলাইন না দেওয়ায় দিবসটির কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়নি বলে জানিয়েছেন মাউশির পরিচালক (বিদ্যালয়) মো. বিলাল হোসাইন।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের হাতে এখনো পর্যাপ্ত সময় রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গাইডলাইন দেওয়া হলে তা প্রকাশ করা হবে।
পূজার ছুটিতে এ দিবস কীভাবে পালন করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাইডলাইনে এসব বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া থাকবে। স্কুল-কলেজে কী ধরনের কর্মসূচি পালন করতে হবে, তার দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।
এমএইচএম/এমকেআর/এমএস