দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহবান টিআইবি`র


প্রকাশিত: ১২:০০ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৪

দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) এর আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও কার্যকর দুর্নীতি প্রতিরোধকে আঞ্চলিক সহযোগিতার সুনির্দিষ্ট লক্ষ করার আহবান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

গত ৫ নভেম্বর সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান কর্তৃক স্বাক্ষরিত এ আহবান সম্বলিত একটি পত্রের অনুলিপি পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র সচিবকে প্রেরণ করেছে টিআইবি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আঞ্চলিক সহযোগিতা কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সার্ক সদস্যভুক্ত দেশসমূহে দুর্নীতিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারভুক্ত চ্যালেঞ্জ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা। বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে প্রতিহত করে সকল প্রকার ভয়ের উর্ধ্বে থেকে কার্যকরভাবে দুর্নীতি দমনে বহুমাত্রিক কৌশল গ্রহণের অঙ্গীকার করা। দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সহযোগিতার লক্ষ্যে কার্যকর আঞ্চলিক উদ্যোগ গ্রহণ করা। অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্থ ও সম্পদ পাচারসহ সকল প্রকার আন্তর্জাতিক দুর্নীতি প্রতিরোধে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা। এছাড়া জনগণের তথ্যের অভিগম্যতা নিশ্চিত করতে এবং দুর্নীতি দমনে সুনির্দিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানসহ সকল জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী ও কার্যকর করতে দৃঢ় অঙ্গীকার করা।

জাতিসংঘ দুর্নীতিবিরোধী সনদের ১৩ নং অনুচ্ছেদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরকারের দুর্নীতিবিরোধী প্রয়াসের সম্পূরক ভূমিকা পালনে সার্কভুক্ত দেশসমূহের সাধারণ জনগোষ্ঠী, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের অবাধ ও সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করা।

উল্লিখিত পত্রে বাংলাদেশ সরকারের ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করে বলা হয়, সুশাসন প্রতিষ্ঠাকে ইতিমধ্যে রাষ্ট্রীয় নীতির মূল লক্ষ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা বলা হয়েছে।

সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে টিআইবি’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- উল্লিখিত প্রস্তাবনাগুলো এক্ষেত্রে সরকারের নীতিগত অবস্থান, বিশেষ করে ২০১২ সালে গৃহীত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

সুশাসন ও দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগে সরকারের সক্রিয় অংশগ্রহণের কথাও পত্রে উল্লেখ করা হয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার সকল সরকারই অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র হ্রাস, ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দুর্নীতিকে একটি প্রধান প্রতিবন্ধক হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিধায় উল্লিখিত প্রস্তাব সম্পূর্ণ সময়োপযোগী।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সার্কসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ফোরামে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা কার্যক্রমে সুশাসন প্রতিষ্ঠাকে পারস্পরিক সহযোগিতার একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য হিসেবে এবং দুর্নীতির নিয়ন্ত্রণে, বিশেষত আন্তর্জাতিক পর্যায়ের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে পারস্পরিক অভিজ্ঞতার আদান-প্রদান ও সহযোগিতার সুযোগ তৈরিতে প্রধানমন্ত্রী ও তার প্রতিনিধিদল সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন।

টিআইবি’র উদ্যোগে অনুরূপ একটি আবেদন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের কাছে প্রেরিত হয়েছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।