অটোরিকশা হাতিয়ে নিতে বন্ধুকে খুন, যুবক গ্রেফতার
ভাড়ায় চালানো অটোরিকশার আয়ে সংসার চলতো মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ফরিদ মিয়া (৩৩) নামে এক যুবকের। অটোরিকশা ছিনতাই করতে বন্ধুত্ব করেন সাভারের সবুজবাগ এলাকার ভাড়াটিয়া মাসুদ শেখের সঙ্গে। এরপর কৌশলে মাসুদ শেখের অটোরিকশা ছিনতাই করেন ফরিদ। ছিনতাই কাজে বাধা দিলে মাসুদকে খুন করে মরদেহ ফেলে রেখে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায় ফরিদ।
অটোরিকশাচালক মাসুদ শেখ হত্যার রহস্য উদঘাটন ও মূল হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪)। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, গামছা ও অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, গত ২ অক্টোবর রাতে কৌশলে মাসুদকে সিংগাইর উপজেলার দাশেরহাটি এলাকায় ডেকে নেন ফরিদ। সেখানে মাসুদের গলায় গামছা পেঁচিয়ে চাকু দিয়ে আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান ফরিদ। ৫ অক্টোবর মাসুদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠায় সিংগাইর থানা পুলিশ। ওই দিনই মাসুদের ভাই মজনু মিয়া বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর আসামি গ্রেফতারে মাঠে নামে র্যাবের একটি দল।
বুধবার (৬ অক্টোবর) রাতে সাভার থেকে হত্যাকারী ফরিদকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী সিংগাইর উপজেলার আলমাস হোসেনের অটোপার্টসের দোকান থেকে অটোরিকশা এবং উপজেলার গোবিন্দল এলাকা থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাকু ও গামছা এবং ফরিদের বাড়ি থেকে ভিকটিমের মোবাইল উদ্ধার করে।
মোজাম্মেল হক আরও বলেন, অটোরিকশার লোভে মাসুদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে ফরিদ। পরে সেই অটোরিকশার জন্য মাসুদকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী খুন করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।
টিটি/এএএইচ/জিকেএস