আন্তর্জাতিক শিশু দিবসে জাগো ফাউন্ডেশনের কর্মসূচি


প্রকাশিত: ১০:৫১ এএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৪

প্রতি বছরের মতো এবারও আন্তর্জাতিক শিশু দিবসে শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় কর্মসূচি পালন করবে জাগো ফাউন্ডেশনের অনুপ্রেরণায় গঠিত ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি)। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাখসান্দ।

শিক্ষায় বিনিয়োগ - এই স্লোগান নিয়ে ২৮ জেলায় স্বেচ্ছাসেবকরা পথে পথে শিশুদের শিক্ষার জন্য প্রচারণা চালাবে।

অন্যদিকে ঢাকায় প্রায় ৫০০ সুবিধাবঞ্চিত শিশু নিয়ে যাওয়া হবে বনানী সোসাইটি পার্কে, যেখানে তারা দিনভর আনন্দ করবে। অন্যান্য জেলার শিশুদের নিয়ে যাওয়া হবে বিভিন্ন বিনোদনমূলক পার্কে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি আক্কু চৌধুরী, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক অভিযাত্রী ওয়াসফিয়া নাজরিন।

সম্মেলনে আক্কু চৌধুরী বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর সাথে স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে জন্ম হয় একটি সুন্দর দেশ – বাংলাদেশ। কিন্তু অশিক্ষা ও দারিদ্রের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি। স্বাধীনতা যুদ্ধের স্পৃহা ছিল সোনার বাংলা তৈরির একটি ভিত্তি এবং আমি মনে করি জাগো ফউন্ডেশন সেই স্পৃহা থেকেই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার জন্য এবং তাদের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। জয় মানুষ।

করভি রাখসান্দ বলেন, যদি শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড হয়, তবে কেন সবার শিক্ষার আলোয় আলকিত হওয়ার সুযোগ থাকবে না। শিক্ষাখাতে ব্যয়কৃত অর্থ কেন দান বা সাহায্য নয় বরং এটি একটি জীবনব্যাপী বিনিয়োগ। নিজের সন্তানের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে আমরা যেভাবে বিনিয়োগ করি থাকি একিভাবে সুবিধা বঞ্চিতদের শিক্ষায় বিনিয়োগ করা উচিত। একটি সুস্থ সুন্দর সমাজ গড়ে তুলতে, যেখানে কিনা প্রত্যাক নাগরিকের মানবধিকার রক্ষা করা হয় সেখানে শিক্ষা একটি অন্যতম উপাদান। শিক্ষা শান্তিপূর্ণ সমাজের জন্য আবশ্যক। বিনিয়োগ করুন নিজের জন্য, ভবিষ্যতের জন্য। আমরা গত ৫ বছর ধরে শিক্ষার জন্য প্রচারাভিযান করে চলছি এবং সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই অভিযান চালিয়ে নিতে আমরা প্রতিজ্ঞা বদ্ধ।

এই কর্মসূচিতে সহযোগিতা করছে আমেরিকান সেন্টার ট্রান্সকম ফুড লিমিটেড এবং বেক্সিমকো ফার্মা।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।