খালেদার বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ৩১ ডিসেম্বর
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী জেরা ও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। সোমবার সকাল পৌনে ১১ টার দিকে ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এদিন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার চার সাক্ষীকে আসামিপক্ষের জেরা এবং নতুন এক সাক্ষীর সম্পূর্ণ ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এরপর পরবর্তী তারিখ ধার্য করে আদেশ দেন আদালত।
পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় আদালতে অনুপস্থিতির জন্য দুই মামলায়ই খালেদা জিয়ার পক্ষে আবেদন জানান তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। আদালত খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতির আবেদন মঞ্জুর করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষীর জেরা ও নতুন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের আদেশ দেন।
এদিন মামলার ২৭ থেকে ৩০তম সাক্ষী (জব্দ তালিকার সাক্ষী) সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ডিজিএম আব্দুল গফুর, এজিএম মো. হারুন অর রশীদ, মিরপুর শিল্প এলাকা শাখার ব্যবস্থাপক হারুন অর রশীদ ফকির ও জিএম আমিন উদ্দিন আহমেদকে খালেদা জিয়ার পক্ষে জেরা করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজ্জাক খান।
অন্য আসামিদের পক্ষে জেরা করেন অ্যাডভোকেট টিএম আকবর ও অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম। এরপর ৩১তম সাক্ষী মেট্রো মেকার্স অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের সাবেক সিনিয়র ম্যানেজার কাজী রশিদউজ্জামানের পুরো এবং ৩২তম সাক্ষী মামলার আইও দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদের আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
দুদকের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, পরবর্তী ধার্য তারিখে অসমাপ্ত সাক্ষ্যগ্রহণ ও আসামিপক্ষের জেরা অনুষ্ঠিত হবে।
মোশররফ হোসেন কাজল বলেন, প্রধানমন্ত্রী থাকাকলীন খালেদা জিয়া এ ট্রাস্ট করেছেন। যা আইনত করা য়ায় না। ট্রাস্টের অর্থ নিজেরা লাভবান হতে ব্যয় ও আত্মসাৎ করেছেন বলে তিনি দাবি করেন।
খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে থাকায় এর আগেও মামলায় কয়েকটি ধার্য তারিখে আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ জন্য তার পক্ষে আইনজীবীরা হাজিরা প্রদান করেন। চিকিৎসার জন্য প্রায় দুই মাস লন্ডনে থেকে গত ২১ নভেম্বর দেশে ফিরেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে গত ৩০ নভেম্বর নাইকো সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান বেগম খালেদা জিয়া।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় দুদক মামলা দায়ের করে। এ মামলায় ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক অভিযোগপত্র দাখিল করে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
গত ১৯ মার্চ দুই মামলায় খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩।
এফএইচ/এসএইচএস/আরআইপি