কৃষির জন্য বাংলাদেশকে জমি দিতে চায় আফ্রিকার অনেক দেশ
কৃষিপণ্য উৎপাদনের জন্য দক্ষিণ সুদানসহ আফ্রিকার অনেক দেশ বাংলাদেশকে জমি লিজ দিতে চায় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সোমবার (৪ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার এ বৈঠক হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আফ্রিকার অনেক দেশ আছে দক্ষিণ সুদানসহ, তারা আমাদের অফার করেছে তোমরা যদি আমাদের দেশে আস তোমাদের আমরা ব্যাপকভাবে জমি লিজ দেব। সেখানে তোমরা এগ্রিকালচার প্রডাক্ট (কৃষিপণ্য) করতে পারবে।
এই প্রস্তাবকে বাংলাদেশ স্বাগত জানিয়েছে বলে জানান সচিব। তিনি বলেন, আমরা ওয়েলকাম জানিয়েছি। এ বিষয়টিকে কুইকলি (দ্রুত) দেখার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয়কে প্রধানমন্ত্রী ইনস্ট্রাকশন দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের কিছু কিছু এগ্রিকালচার ফার্ম আফ্রিকার দেশে গিয়ে অনেক কিছু উৎপাদন করছে। এটা একটা বিষয়। দুই নম্বর হচ্ছে- এসব দেশ ছোট। কিন্তু জমি আছে। এটা এক্সপ্লোর (অনুসন্ধান) করার জন্য ইনস্ট্রাকশন দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে বাংলাদেশের যেসব কৃষিপণ্য দেশের বাইরে যেতে পারে সে বিষয়ে যাচাই করতে বলা হয়েছে বলে জানান সচিব।
তিনি বলেন, ক্যাপিটিয়াল কান্ট্রি (ধনি দেশ) থেকে ভেজিটেবিলগুলোকে ওয়েলকাম জানিয়েছে তারা (আফ্রিকার দেশ)। আমাদের দেখতে হবে, সেসব দেশের আবহাওয়ায় কোন কোন ক্রপস (শস্য) সুইটেবল। সেগুলোর প্রোডাকশন যদি আমরা করি, ওইখানের মার্কেটে বিক্রি করতে পারি, ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে বিক্রি করতে পারি, এটা আমাদের জন্য লাভজনক হবে।
এ জন্য গবেষণাগার করতে পূর্বাচলে ইতোমধ্যে দুই একর জমি কৃষি মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে বলে জানান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, যে এগ্রিকালচার প্রডাক্টটা নেবে সেখানে নিয়ে ওইখানেই ফ্যাক্টরি ওইখানেই সার্টিফিকেট। আজকে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডের অনেক জিনিস আমাদের যেতে পারে না। এই ল্যাবরেটরিটা ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটা আমাদের অর্থনীতির বড় একটা ক্ষেত্র হবে বলে মন্তব্য করেন সচিব।
এমএএস/জেডএইচ/এমএস