বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন: ৩০০ কোটি টাকা করবঞ্চিত সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪১ পিএম, ০২ অক্টোবর ২০২১

বিদেশি চ্যানেলগুলোতে বিজ্ঞাপন প্রচারের কারণে বছরে ৩০০ কোটি টাকা কর পাচ্ছে না সরকার।

শনিবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভার্চুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বেসরকারি টিভি চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টিভি চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেন, ভারতীয় চ্যানেল এবং বিদেশি চ্যানেলগুলো বাংলাদেশে স্যাটেলাইট সংযোগের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখানোর ফলে গ্রাহকরা বছরে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা এবং সরকার ৩০০ কোটি টাকা কর পাচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনে মোজাম্মেল হক বলেন, দেশে ২০০৬ সালে একটি ক্যাবল টিভি আইন করা হয়। এছাড়া ২০১০ সালে এ সম্পর্কিত একটি নীতিমালাও করা হয়। কিন্তু এখনো সেটির বাস্তবায়ন হয়নি। দেশীয় চ্যানেলের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য এ আইন কার্যকর করা উচিত।

তিনি বলেন, বিদেশি চ্যানেল যে কোনো দেশে নিজেদের বিজ্ঞাপন দেখাতে হলে সে দেশকে কর দিতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশে নিজেদের বিজ্ঞাপন প্রচারণায় বিদেশি চ্যানেলগুলো কোনো কর প্রদান না করায়, সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য কিছু ভারতীয় চ্যানেলসহ একই ধারার বিদেশি চ্যানেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিজ্ঞাপনহীনভাবে চ্যানেলগুলো প্রচারণার জন্য বাংলাদেশ প্রযুক্তিগতভাবে প্রস্তুত কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি সরাসরি টিভি চ্যানেলগুলোই প্রচার করতে পারে। এছাড়া ক্যাবল অপারেটর থেকেও ক্লিনফিড করা যায়। থার্ড পার্টির মাধ্যমেও এটি করা সম্ভব।

বিদেশি চ্যানেল বন্ধ থাকলে গ্রাহকরা বঞ্চিত হবে কি না জানতে চাইলে মোজাম্মেল হক বলেন, দেশীয় আইন প্রয়োগ করতে হবে। সেক্ষেত্রে কিছু সাময়িক অসুবিধা হতে পারে। আইন প্রয়োগ করতে হলে একটি পর্যায়ে এ ধরনের ব্যবস্থা নিতেই হতো। সম্প্রতি নেপালও এ ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।

এর আগে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছিলেন, বিদেশি চ্যানেলে ক্লিনফিড না চালানোর কারণে কয়েক হাজার কোটি টাকা, যা দেশে লগ্নি হতো, তা বিদেশের চ্যানেলে লগ্নি হয়। বিদেশি চ্যানেলে যদি বিজ্ঞাপন না দেখানো হতো, তবে দেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি লাভবান হতো। অর্থাৎ দেশের অর্থনীতি লাভবান হতো।

এএএম/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।