সানাউল্লাহ সাগরের তিনটি কবিতা


প্রকাশিত: ০৫:২৩ এএম, ২১ ডিসেম্বর ২০১৫

দৃষ্টির ভাঁজ খুলে দাও

আবার তবে এসো
মুছে ফেলি নোনা ফেনার দাগ
হাতের তালুতে ঢেকে দেই অশুভ বাহানার মুখ।
গন্ধের শোকসভা শেষে
কোন বিউগলে ফেলে তাকে- ফিরে এসেছি
কাফন সজ্জার পরম মমতায়!
জানা ছিলো তুমি
যে তুমি
আমার ভেতরের ঘরদোর গুছিয়ে রাখো ঠিক।
সেখানে দেখো কী তীব্র অন্ধকার; আমিও আমার চারপাশে...

আরেক বার
যদি আরেক বার- হাত টেনে
মৌসুমী শস্যে ছড়িয়ে দাও বুকের ওম- ঠোঁটের জ্বর
ভুলে যাবো-
রঙ হারানো ডাহুকের বিষণ্ন স্বর
কান্নার এপিঠ ওপিঠ।

এসেছে বৃষ্টির মুহূর্ত- চার

কবেকার ওষুধ তুমি তুলে রেখেছিলে কথিত
বিরামের মাঠে; ভাঙা বিকেলের আলগা খামে।
নৃত্যের বাতাসা গলে যাচ্ছে ছায়াভেঁপুদের বাড়ি-
আমাদের কোন সলাজ বসতি নেই; নিজস্ব উঠোন।

দূরত্বের ওম- মৃত্যুর মতো নরম- জড়িয়ে রেখেছে
শীতল ভ্রমে। কুয়াশার নিপেলে ঠোঁট রেখে আলো
ঝিমুতে দেখছে
ঘরহীন বাবুইয়ের সুলভ পোট্রেট।
বরষাও দগ্ধ করে অন্ধকার; রীতিবিরুদ্ধ
আগুনের আর্তি।

আমি শীতবৃষ্টির নখ বরাবর
শোক হারানো নিঃসঙ্গ কেদারা
ভিজে ভিজে অনাগত কান্নাকে ভাসাই
কতিপয় অসুখের লোভে...

গতির গদ্য

যেভাবে টানছো
ডুব ভাবছি আলোকিত বেদনায়।
কতটুকু দেখলে লেখা যায় সামনের ঢেউ
ততবেলা ঘুমিয়ে এসে
খুঁজে নিও সকালের স্পর্শ।

নিয়ম করে মুখস্ত নয়
শিশিরের কোলে কোলে
সবুজ পাবে- প্রত্যন্ত আতর।

পিছন পথে মুখ তোমার
আমার পিছনে একা একা হাঁটছে!
না পড়েই শিখেছি এ জ্যোতি...

বারবার কাছাকাছি
বিনিময় ভুলে
সাঁতারের পালকী
আমাদের থাকুক।

রোদ মাথায় তিতে ঘ্রাণ ভুলে যাবো
যেভাবে টানছো
এভাবেই হাসুক
গতিময় পথ।

এসইউ/এইচআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।