বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর প্রধান কারণ আগাম জন্ম


প্রকাশিত: ০৯:১৪ এএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৪

আগাম জন্ম বা মাতৃগর্ভে ৩৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগে জন্মগ্রহণ করার ফলে শিশুদের শরীরে যেসব জটিলতা তৈরি হয়, তাতে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিশু মারা যায়। সম্প্রতিক প্রথমবারের মত একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে এসেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, লন্ডন স্কুল অব হাইজিন এন্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন এবং জন্সহপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের একটি গবেষণা দল যৌথভাবে গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন।

২০১৩ সালে সারা পৃথিবীতে পাঁচ বছরের কমবয়সী প্রায় ৬৩ লক্ষ শিশু মারা গেছে, যাদের মধ্যে ১১ লক্ষ আগাম জন্ম সংক্রান্ত জটিলতায় মারা গেছে।

নতুন এই গবেষণায় বলা হচ্ছে, ২০১৩ সালে সারা পৃথিবীতে আগাম জন্মের ফলে সৃষ্ট জটিলতায় মারা যাওয়া শিশুদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিশুমৃত্যু ঘটে জন্মের প্রথম আটাশ দিনের মধ্যেই।

গবেষকরা শিশু মৃত্যুর অন্যান্য প্রধান কারণগুলোর মধ্যে নিউমোনিয়া, জন্মের সময়ে এবং তার পরবর্তী সময়ে সৃষ্ট বিভিন্ন জটিলতাকে চিহ্নিত করেছেন।

আগাম জন্ম জটিলতায় প্রতিবছর পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশুমৃত্যু সবচেয়ে বেশি হয় ভারতে। দেশটিতে বছরে গড়ে সাড়ে তিনলক্ষেরও বেশি এমন শিশু মারা যায়। এর পরের অবস্থানেই রয়েছে নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, এবং ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো।

বাংলাদেশেও আগাম জন্ম সংক্রান্ত জটিলতাই এখন শিশুমৃত্যুর প্রধান কারণ।

ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিওনাটলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ জানিয়েছেন, বাংলাদেশে মোট শিশুমৃত্যুর শতকরা ৪৫ শতাংশই হয় এ সংক্রান্ত জটিলতায়।

অধ্যাপক শহিদুল্লাহ আরও বলেন, অনুন্নত দেশগুলোতে জীবাণু সংক্রমণসহ নানা কারণে শিশুমৃত্যু হলেও উন্নত দেশগুলোতে শিশুমৃত্যু হয় মূলত: আগাম জন্মের কারণেই।

কয়েকটি উন্নত দেশেও আগাম জন্ম সংক্রান্ত জটিলতাই শিশুমৃত্যুর প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছে।

এ সংক্রান্ত জটিলতার ফলে শিশুমৃত্যুর শতকরা হারের দিক দিয়ে সবচে খারাপ অবস্থায় রয়েছে মেসেডোনিয়া, যেখানে শিশুমৃত্যুর অর্ধেকেরও বেশি ঘটে আগাম জন্ম নেয়া শিশুদের ক্ষেত্রে। এর পরের অবস্থানেই রয়েছে স্লোভেনিয়া, ডেনমার্ক, সার্বিয়া, যুক্তরাজ্য এবং হাঙ্গেরি।

১৭ই নভেম্বরকে বিশ্ব অপরিণত শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। -বিবিসি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।