বাল্যবিয়ে নিরসনে সচেতনতা বাড়াতে কাজ চলমান: স্পিকার
বাল্যবিয়ে নিরসনে অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং কাজী ও নিকাহ রেজিস্ট্রারদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, কর্মশালা আয়োজনের মাধ্যমে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে কিশোরী স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো সম্ভব। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ট্রেন্থেনিং পার্লামেন্টস ক্যাপাসিটি ইন ইন্টারগেশন পপুলেশন ইস্যুজ ইনটু ডেভেলপমেন্ট (এসপিসিপিডি) প্রকল্পের আওতায় এ ধরনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এসপিসিপিডি প্রকল্পের আওতায় বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ময়মনসিংহের নান্দাইলে অনুষ্ঠিত ‘কোভিডকালীন কিশোরী স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ বিষয়ক পরামর্শ কর্মশালায়’ প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন স্পিকার।
স্পিকার বলেন, কোভিডকালীন সময়ে অর্থনৈতিক, সামাজিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বিশ্বব্যাপী। কিশোর-কিশোরীদের মানসিকতার ওপরও এর প্রভাব পড়েছে। এসব সমস্যা উত্তরণে সামাজিকভাবে সমাধান খুঁজতে হবে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নারী ও মেয়েদের উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছেন। মেয়েদের উচ্চশিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষার যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়েছে। নারীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে কমিউনিটি ক্লিনিক, পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক, ল্যাকটেটিং ভাতার ব্যবস্থা ইত্যাদি বহুমুখী কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। প্রজননস্বাস্থ্যের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হতে হবে, কেননা একজন সুস্থ মায়েই পারেন সুস্থ জাতি উপহার দিতে। অভিভাবকদের বুঝতে হবে একজন মেয়ে কখনও বোঝা নয়, বরং সম্পদ। তাদের স্বাবলম্বী হবার জন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। তাদের স্বাবলম্বী করার মাধ্যমেই দেশ এবং জাতি এগিয়ে যাবে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খানের সভাপতিত্বে ও সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদ, ফখরুল ইমাম, আরমা দত্ত, আবিদা আনজুম মিতা, শামীমা আক্তার বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এইচএস/এমএএইচ/জিকেএস