মিরপুরে নির্বিঘ্নে মিলছে টিকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সারাদেশে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রমের আওতায় ৭৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বিভিন্ন ওয়ার্ডে দুপুর আড়াইটা থেকে টিকা দেওয়া শুরু হয়। এদিন মিরপুর ১০, ১১ ও ১২ নম্বরের একাধিক টিকাকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, কেন্দ্রের বাইরে মানুষের অল্প-বিস্তর লাইন রয়েছে, তবে খুব বেশি ভিড় নেই।
নারী ও পুরুষ সুশৃঙ্খলভাবে আলাদা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকাকেন্দ্রে প্রবেশ করছেন। কোনো কোনো কেন্দ্রে বয়োজ্যেষ্ঠদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রেই নির্বিঘ্নে গ্রহীতারা টিকা নিতে পারছেন।
এদিন, মিরপুর ২ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে প্রায় অর্ধশত লোককে টিকার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এই ওয়ার্ডের অন্তর্গত মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনে দু’টি টিকাকেন্দ্র থাকলেও কমিউনিটি সেন্টারটিতেই টিকা দেওয়া হচ্ছে।
২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, সকাল ৯টা থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল। পরে নির্দেশনা দেওয়া হয় দুপুর আড়াইটায় শুরু করতে। সকালে যারা এসেছিল তাদের দুপুরে আসতে বলেছি। বিকেল পর্যন্ত টিকা কার্যক্রম চলবে। কোথাও কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
জানা গেছে, উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রতি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৫০০ জন করে দুই দিনে এক হাজার জনকে টিকা দেওয়া হবে। যারা এরই মধ্যে ডিএনসিসি এলাকার যেকোনো হাসপাতালে টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন তবে এখনো এসএমএস পাননি শুধু তারাই এই কার্যক্রমের আওতায় টিকা নিতে পারবেন। তবে ষাটোর্ধ বয়সীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।
অন্যদিকে মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে টিকা নিতে আসা মানুষের সংখ্যা ছিল কম। দুপুরে ওয়ার্ডটির মনিপুর ক্যাডেট ল্যাবরেটরি স্কুলের কেন্দ্রে গিয়ে কয়েকজনকে পাওয়া যায়।
তবে কাউন্সিলর ইসমাইল মোল্লার দাবি, সময় গড়ানোর পাশাপাশি টিকা গ্রহীতার সংখ্যাও বাড়বে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সাড়ে ৩০০ টিকা দেওয়া হয়েছে। আশা করি, বিকেলের মধ্যে টিকা গ্রহীতার সংখ্যা বাড়বে। সবাইকে টিকা দেওয়া যাবে।
এসএম/এমআরআর/এমএস