আশুলিয়ায় অপহৃত উদ্ধার : আটক ৩
র্যাবের অভিযানে আশুলিয়া থেকে অপহৃত কাজলকে উদ্ধার ও অপহরণকারী চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অপহৃত কাজল পেশায় রাজমিস্ত্রী।
রোবাবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ নবীনগর ক্যাম্পের একটি দল আশুলিয়া থানাধীন ডেন্ডাবর মধ্যপাড়াস্থ এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব সদর দফতরে লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং এর পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান। তিনি জানান, গত ১৯ ডিসেম্বর সকালে আশুলিয়া থানাধীন পল্লীবিদ্যুৎ কবরস্থান রোডের কন্ট্রাক্টর জাকির হোসেনের বাড়িতে কাজল রাজ মিস্ত্রীর কাজ করতে যান।
দুপুরে তমাল হোসেন (২০) কাজলকে কৌশলে ডেকে নেয়। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মোটরসাইকেলে ওঁৎ পেতে থাকা তারিকুল ও তারা মিয়া পরস্পরের সহায়তায় ভিকটিম কাজলকে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে আশুলিয়া থানাধীন আমিন মডেল টাউন এর পাশে অন্ধকার স্থানে নিয়ে যায়।
অপহরণকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য তারিকুল ইসলাম হাতুড়ি দ্বারা কাজলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে এবং ১লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
কাজল ১ লাখ টাকা দেয়ার ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করলে ভিকটিমকে আশুলিয়া থানাধীন ডেন্ডাবর মধ্যপাড়াস্থ একটি টিনের ঘরে আটক করে শারীরিক নির্যাতন এবং বন্দি করে রাখে। তমাল কাজলের স্ত্রীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে ১ লাখ টাকা না দিলে তার স্বামীকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে কাজলের স্ত্রী নবীনগর র্যাব ক্যাম্পে অভিযোগ দাখিল করলে র্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ভিকটিম কাজল ওরফে আসাদুলকে (৩২) উদ্ধার করে। এসময় অপহরণকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য তারিকুল ইসলাম (৩২), তারা মিয়া (৫৪), মো. লিটন (৩৬) ১টি পুলিশ হ্যান্ডকাফ, রেজিস্ট্রেশন বিহীন ১০০ সিসি ডিসকোভার মোটরসাইকেল, কাঁচি ও ৬ টি মোবাইলসহ গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, অপহরণকারী চক্রের সদস্য তারিকুল ইসলাম বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর কনস্টেবল পদে কর্মরত। তিনি তার ব্যক্তিগত রেজিস্ট্রেশন বিহীন মোটরসাইকেল অসৎ উদ্দেশ্যে বেআইনিভাবে হুটার সংযোজন করেছেন এবং সার্বক্ষণিক তার সাথে নিয়ম বর্হিভূত ভাবে হ্যান্ডকাফ রাখেন। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
জেইউ/এসকেডি/পিআর