মেসি-নেইমার দু’জনই ফাইনালের সেরা একাদশে


প্রকাশিত: ১০:৪১ এএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫

গ্রোইন ইনজুরির কারণে সন্দেহ ছিল নেইমারকে নিয়ে। আর কিডনিতে পাথর ধরা পড়ার পর মেসিকে নিয়েও সন্দেহ কম ছিল না। তবে ইনজুরিমুক্ত নেইমার কিংবা কিডনিতে পাথর মুক্ত হলেও মেসিকে ফাইনালে পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে ছিল যথেষ্ট সন্দেহ। শেষ পর্যন্ত বিশ্ব ক্লাব কাপ ফাইনালে রিভারপ্লেটের বিপক্ষে লুইস এনরিক মেসি-নেইমার দু’জনে রেখেই সেরা একাদশ সাজালেন।

বিশ্ব ক্লাব কাপ সেমিফাইনালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন গুয়াঙজু এভারগ্রান্ডের বিপক্ষে খেলতে পারেননি বার্সার এই দুই সুপারস্টার। ওই ম্যাচে লুই ফেলিপে স্কলারির শিষ্যাদের একাই হারিয়ে দিয়েছিলেন লুইস সুয়ারেজ। তিনি করেছিলেন হ্যাটট্রিক। বার্সেলোনা জয় পেয়েছিল ৩-০ গোলের ব্যবধানে।

বিশ্ব ক্লাব কাপে হ্যাটট্রিক করার লক্ষ্যে এবার পূর্ণ শক্তি নিয়েই আর্জেন্টাইন ক্লাব রিভারপ্লেটের মুখোমুখি হচ্ছে বার্সেলোনা। আক্রমণভাগে চিরচেনা সেই এমএসএন জুটি। বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর আক্রমণভাগ। যে কোন দলের রক্ষণ ভেঙে তছনছ করে দেয়ার সামর্থ্য রাখেন যারা।

কিডনিতে পাথর থাকার কারণে রেনাল ক্রলিকে ব্যাথা মেসির। আর গ্রোইন ইনজুরি কারণে সাইডলাইনে নেইমার- দুটোই এখন অতীত। কিডনির পাথর সরানো হয়ে গেছে মেসির। আর ইনজুরি কাটিয়ে সতীর্থদের সঙ্গে পূরোদমে শনিবার অনুশীলণ করলেন নেইমার। তখনই বোঝা গিয়েছিল, ফাইনালে এই দুই তারকাই ফিরছেন বার্সার সেরা একাদশে।

রিভারপ্লেটের বিপক্ষে যদি মেসি গোল করতে পারেন, তাহলে সেটা হবে একটি মধুর প্রতিশোধ। ১৯৯৯ সালে ৯০০ ডলার ব্যায় করে ১২ বছর বয়সী মেসির হরমোন থেরাপি দিতে চায়নি আর্জেন্টিনার ক্লাবটি। রোজারিওর সেই বালকটি বার্সেলোনার কাছ থেকে সুযোগ পেয়েই চলে আসেন স্পেনে। সেই থেকে ন্যু ক্যাম্পের স্থায়ী অধিবাসী। প্রায় ১৬ বছর পর সেই রিভারপ্লেটেরই মুখোমুখি হয়ে গেলো লিওনেল মেসি। দেখা যাক, আজ কি করতে পারেন বার্সার আর্জেন্টাইন সুপার স্টার।

আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।