সুনসান ইভ্যালির কার্যালয়
প্রতারণার অভিযোগে র্যাবের হাতে আটক হয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। এরপর থেকেই বন্ধ প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে এই দম্পতিকে আটক করা হয়।
এ খবর শুনে মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি-১৪ নম্বরে অবস্থিত ইভ্যালির কার্যালয়ের সামনে গ্রাহকরা বিক্ষোভ করেন। তারা ইভ্যালি সিইও রাসেলের মুক্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে ইভ্যালিকে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানান।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ধানমন্ডিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সেটি বন্ধ আছে। শাটার খুলে প্রবেশ ও বের হচ্ছেন ভবনটির অন্য বাসিন্দারা।
ভবনটির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জাহাঙ্গীর জাগো নিউজকে বলেন, গতকাল বিকেলের পর থেকেই অফিস ছাড়েন ইভ্যালির কর্মীরা। শুক্রবার কেউ অফিসে আসেননি। ইভ্যালির পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগও করেননি।
সকাল ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অবস্থানকালে ইভ্যালি কার্যালয়ের সামনে কোনো গ্রাহককে দেখা যায়নি।
এদিকে ইভ্যালির কার্যালয় বন্ধ থাকলেও সচল আছে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ। ইভ্যালির ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানানো হয়, ঘাটতি মেটাতে বিনিয়োগ পাওয়ার চেষ্টা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
এতে বলা হয়, ডিজিটাল বাংলাদেশের সহযাত্রী হিসেবে ইভ্যালির এই পথযাত্রায় আমরা এগিয়ে এসেছি অনেকটা পথ। এদেশের ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্নপূরণে আমরা নিজেদের নিবেদন করেছি পুরোটাই। স্বপ্নপূরণের এই যাত্রায় বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ও ই-কমার্সকে সাধারণের কাছে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য করতে গিয়ে কিছুটা আর্থিক ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আমরা এই ঘাটতি পূরণে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এরই লক্ষ্যে বিনিয়োগ প্রাপ্তির সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে।
পোস্টে আরও বলা হয়, সময় ও সুযোগ পেলে একাগ্রতা ও সুন্দর পরিকল্পনার মাধ্যমে নতুন নীতিমালার আলোকে এই ঘাটতি পূরণে আমরা বদ্ধপরিকর। এই লক্ষ্য অর্জনে আমাদের আরও কিছু মাস প্রয়োজন ছিল।
গত বুধবার রাতে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় প্রতারণা মামলা দায়ের করেন এক গ্রাহক।
এসএম/বিএ/এমএস