জৈন্তাপুরে নিখোঁজের ৮ দিন পর স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
নিখোঁজের আট দিনের মাথায় সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চারিকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী পুলক চন্দ্র রাউৎ (১৪) এর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্কুলছাত্র পুলক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহ আটক দুই সহোদরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট-তামাবিল সড়কের পাখিটিকি এলাকার ভূইয়া ফিসারিজের পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আটক আবদুল কুদ্দুস (১৮) ও তার ভাই শাহাব উদ্দিন শাবু (২০) পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন জৈন্তাপুর মডেল থানার ওসি সফিউল কবির। তারা দুইজন বাউরভাগ গ্রামের শফিক আহমদের ছেলে। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া আরো এক যুবককে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলক চন্দ্র রাউৎ জৈন্তাপুরের চারিকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। গত ১০ ডিসেম্বর সারিঘাট বাজারের উদ্দেশ্যে বের হয়ে সে নিখোঁজ হয়েছিল।
পুলক নিখোঁজের পর তার বাবা জৈন্তাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পুলক নিখোঁজের পেছনে হাত থাকতে পারে এমন সন্দেহে স্থানীয়রা কুদ্দুস ও শাবুকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানায়, তারা পুলককে হত্যা করে পাখিটিকি এলাকার ভুইয়া ফিসারিজের পাশে একটি ডোবায় কচুরিপানা দিয়ে মরদেহ চাপা দিয়ে রেখেছে। পরে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে পুলকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জৈন্তাপুর থানা পুলিশের উপ-পরির্দশক (এসআই) মিন্টু জানান, আমরা মোবাইল ফোন ট্যাকিং করে ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় কুদ্দুস এবং শাবুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
তিনি আরো জানান, তাদের সহযোগী বাউরভাগ উত্তর (পুঞ্জি) গ্রামের দুলি বিশ্বাসের ছেলে স্বপন বিশ্বাসকে (২০) গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
ছামির মাহমুদ/এআরএ/এমএস