মোবাইল নিয়ে দ্বন্দ্বে হৃদয় খুন, দুদিনেই রহস্য উদ্ঘাটন
রাজধানীর মতিঝিলে একটি মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে হৃদয়ের সঙ্গে ফাহিম নামের আরেক যুবকের ঝগড়া ও মারামারি হয়। এক পর্যায়ে ফাহিম কেঁচি দিয়ে হৃদয়ের বুকে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় টহল পুলিশ হৃদয়কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুদিনেই রহস্য উদ্ঘাটনসহ মূল অভিযুক্ত ফাহিমকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল থানা। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় মতিঝিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিকেলে গ্রেফতারের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত খান।
তিনি বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে টহল পুলিশ পথচারীর মাধ্যমে ৩৮, উত্তর কমলাপুরের পেন্টাগন হোটেলের সামনে গুরুতর আহত অবস্থায় এক যুবককে উদ্ধার করে। টহল পুলিশ ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১১টা ৪২ মিনিটের দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ওই যুবকের (ভিকটিমের) নাম জানা যায়। ভিকটিমের নাম হৃদয় ওরফে আলিফ। এরপর হৃদয়ের মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ সেপ্টেম্বর মতিঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাস্থল পেন্টাগন হোটেলের আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ ও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানা যায়, একটি মোবাইলকে কেন্দ্র করে হৃদয়ের সঙ্গে ফাহিম নামের আরেক যুবকের ঝগড়া ও মারামারি হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ফাহিম কেঁচি দিয়ে হৃদয়ের বুকে আঘাত করে।
ফাহিমকে গ্রেফতার ও আঘাত করা কেঁচি উদ্ধার সম্পর্কে তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বুধবার সকাল ৮টায় মতিঝিলের যুগান্তর গলি থেকে ফাহিমকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী সময়ে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মতিঝিলের সিরাজ ভবনের পাশে ময়লার স্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয় হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত কেঁচি ও ফাহিমের গায়ে থাকা রক্তমাখা টি-শার্ট।
টিটি/এমএসএম/জিকেএস