আসতে চেয়েও আসলেন না তিনি
প্রস্তুতি চলছে কয়েকদিন ধরে। মঞ্চ সাজানো হয়েছে সুন্দরভাবে। দূর দূরান্ত থেকে নেতাকর্মীরা ট্রাকযোগে এসেছেন তাকে দেখার জন্য, বক্তব্য শোনার জন্য। তার মুখ থেকে সুখবর শোনার অধীর আগ্রহে ছিলেন আখ চাষিসহ চিনিকলের কর্মকর্তারা। সবার আশায় যেন ভাটা পড়ে গেল মাইকে যখন ঘোষণা দেয়া হলো তিনি আর আসছেন না।
ঠাকুরগাঁও সুগার মিলস্ লি. এর ৫৮তম ২০১৫-১৬ আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসতে চেয়েও আসলেন না বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তার উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও পরে তিনি আসতে পারবেন না এ কথা মোবাইল ফোনে জানিয়ে দেন।
পরে শুক্রবার ঠাকুরগাঁও চিনি কলের আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করেন ঠাকুরগাঁওয়ের ১, ২ ও ৩ আসনের সাংসদরা।
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দবিরুল ইসলাম এমপি, রমেশ চন্দ্র সেন এমপি, ইয়াসিন আলী এমপি, সেলিনা জাহান এমপি, জেলা পরিষদ প্রশাসক মোহাম্মদ সাদেক কুরাইশী, চিনি কলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনায়েত হোসেন, কেন্দ্রীয় আখ চাষি কমিটির সভাপতি রুহুল আমিন প্রমুখ।
সুগার মিল সূত্রে জানা যায়, বিগত কয়েক বছর ধরে চিনির দাম কমে যাওয়ায় মিলটি ক্রমাগত লোকসানে পড়ে। আর এই লোকসান মোকাবেলায় এবং শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন দিতে ঋণ নিতে হয়েছে। বর্তমানে এ ঋণের পরিমাণ প্রায় ২শ` কোটি (দুই শত কোটি) টাকা। যার বাৎসরিক সুদ প্রায় ৩০ কোটি টাকা।
এদিকে আখ দিয়ে প্রতি কেজি চিনি উৎপাদনে মিলের খরচ হয় ৬৫ টাকা, আর চিনি বিক্রি হয় মাত্র ৩৭ টাকায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিলের এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানান, এই মিলে কো-জেনারেশন চালু হলে এবং বিদেশি চিনি আমদানির উপর কর আরোপ করে ও দেশি চিনি বিক্রি নিশ্চিত করতে পারলে লোকসানের পরিমাণ কমানো যাবে।
২০১৫-২০১৬ আখ মাড়াই মৌসুমে ৯০ হাজার মেট্রিকটন আখ মাড়াই করে ৬ হাজার ৫শ` ২৫ মেট্রিকটন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এখনো মিলে গত তিন বছরের ১২ হাজার ৪৪ মেট্রিকটন চিনি অবিক্রিত রয়ে গেছে।
রবিউল এহসান রিপন/এমজেড/পিআর