পপুলারে মেয়াদোত্তীর্ণ রক্ত রাখায় হতবাক ভ্রাম্যমাণ আদালত


প্রকাশিত: ০৭:৫৪ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫

দেশের স্বনামধন্য হাসপাতাল পপুলারে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও রক্ত বিনষ্ট না করে সংরক্ষণ করায় হতবাক হয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। মেয়াদোত্তীর্ণ ওই রক্ত গ্রহণকারীর তাৎক্ষণিকভাবে গুরুতর অসুস্থসহ প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলেও জানান ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জাগো নিউজকে বলেন, “অভিযানের সময় পপুলারের ব্লাড ব্যাংক থেকে তিনটি রক্তভরা ব্যাগ পাওয়া গেছে। এগুলোর মেয়াদ ৪-৫ দিন আগেই শেষ হয়ে গেছে। পাশাপাশি তাদের ব্লাড ব্যাংকের কোনো লাইসেন্সই ছিল না। সর্বোপরি তাদের এই অবস্থা দেখে আমরা হতবাক।”

তিনি আরো বলেন, রক্ত পরিশোধন আইন ২০০২ অনুযায়ী তাদের ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি ২ বছরের জেল। এছাড়া ২৩ ধরণের অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি করায় পপুলার ফার্মেসীকেও ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানী ধানমন্ডির পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এ জরিমানা করেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ধানমন্ডির পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতা এবং ফার্মেসীতে অভিযান চালান র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

উল্লেখ্য, এর আগেও গত ৬ ডিসেম্বর অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রির দায়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি ল্যাবএইড হাসপাতালের এক চিকিৎসকের সহকারীকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেন।

এছাড়া গত ৯ ডিসেম্বর স্কয়ার হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এআর/আরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।