পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি, অভিযানে শতাধিক র্যাব
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়িটির ভেতরে ও বাইরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কমপক্ষে শতাধিক সদস্য অবস্থান নিয়েছে। যেকোনও ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে চারপাশের এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে র্যাব। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে চার তলা ওই ভবনটিতে চলমান অভিযান ঘিরে স্থানীয় ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করতে দেখা যাচ্ছে।
জঙ্গিদের উপস্থিতি রয়েছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বসিলার ওই বাড়িটিতে মধ্যরাতে অভিযান শুরু করে র্যাব। প্রাথমিকভাবে র্যাবের আশঙ্কা, বাড়িটির ভেতরে জঙ্গি আস্তানায় একাধিক জঙ্গি থাকতে পারে। র্যাব জানিয়েছে, তারা সবাইকে জীবিত আটকের চেষ্টা করছে। এরইমধ্যে অভিযান চলাকালে সকাল সাড়ে ৭টায় ওই বাড়ির ভেতর থেকে একজনকে আটক করে হেলমেট পরা অবস্থায় বের করে আনা হয়েছে।
বাড়িটির ভেতরে প্রবেশ করেছে র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল, ডগ স্কোয়াড ও ফরেনসিক টিম। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ডগ স্কোয়াড তল্লাশি শুরু করে বাড়ির ভেতর থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার করেছে।
সকালে র্যাব সদরদপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জাগো নিউজকে বলেছেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে র্যাবের ডগ স্কোয়াড, বোম ডিসপোজ ইউনিট ও ফরেনসিক টিম বসিলার চার তলা ওই ভবনটিতে প্রবেশ করে। এরপর ডগ স্কোয়াড দিয়ে ঘিরে রাখা চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় তল্লাশি চালানো হয়। দ্বিতীয় তলায় বিছানার ভেতর লুকিয়ে রাখা একটি অস্ত্র উদ্ধার করেছে ডগ স্কোয়াড।
এর আগে মধ্যরাতে র্যাব বাড়িটি ঘেরাও করে আশপাশের বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে শুরু করে। রাতেই র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে যায় আস্তানায় থাকা জঙ্গিরা।
তবে বাড়িটির ভেতর ঠিক কতজন জঙ্গি থাকতে পারে, এ বিষয়ে র্যাব এখনো নিশ্চিত নয়। এ পর্যন্ত বাড়ির ভেতর থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে, অভিযান ঘিরে ওই বাড়ির আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যান চলাচল বন্ধ করে এবং এলাকাবাসীকে ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। জঙ্গি আস্তানা দেখতে আসা উৎসুক জনতাকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। র্যাবের অন্তত শতাধিক সদস্য অভিযানে অংশ নিয়েছে। বাড়িটিসহ আশপাশের এলাকার পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে র্যাব।
এমকেআর/এএসএম