সাক্ষ্য দিতে ভারত গেলেন ফেলানীর বাবা


প্রকাশিত: ১১:০৯ এএম, ১৬ নভেম্বর ২০১৪

ফেলানী হত্যা মামলার পুনর্বিচারে আবারও সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ভারতের কুচবিহারের গেছেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম। রোববার সকাল ১১টার দিকে কুড়িগ্রামের ৪৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদর দফতর থেকে তিনি কুচবিহারের উদ্দেশে রওয়ানা হন। এ সময় তার সঙ্গে কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্রাহাম লিংকন ও ৪৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক মেজর এটিএম হেমায়েতুল ইসলামও কুচবিহার গেছেন।
 
তারা লালমনিরহাটের বুড়িমারী সীমান্ত দিয়ে ভারতের চ্যাংরাবান্ধা চেকপোষ্ট হয়ে কুচবিহার যাবেন। এরপর
সোমবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সেক্টর সদর দফতরের জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স আদালতের জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্টে তার সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে। কোর্টটি ভারতের কুচবিহার জেলা সদরের সোনারি এলাকায় অবস্থিত।
 
কুচবিহারের পথে রওয়ানা হওয়ার আগে নুরুল ইসলাম বলেন, আগেও বিএসএফের আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছিলাম। কিন্তু ন্যায় বিচার পাইনি। তবে আশা ছাড়িনি আমি। ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় আবারও সাক্ষ্য দিতে কুচবিহার যাচ্ছি। ন্যায় বিচারের জন্য যতবার আমাকে ডাকা হবে ততবার সাক্ষ্য দিতে যাবো।
 
পিপি আব্রাহাম লিংকন বলেন, এই বিচারে বাংলাদেশ কোন পক্ষ নয়-আসামিও নয়। কিন্তু ফেলানী বাবা বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ায় বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত। ফেলানী হত্যাকাণ্ডের শিকার। ন্যায় বিচার পাওয়ার প্রত্যাশা নিয়েই কুচবিহার যাচ্ছি।
 
উল্লেখ্য, গত ২২ সেপ্টেম্বর ফেলানী হত্যা মামলার পুনর্বিচার শুরু হওয়ার পর ২৬ সেপ্টেম্বর আকস্মিকভাবে আদালতের কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করা হয়। সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য এদিন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম, পিপি আব্রাহাম লিংকন ও ৪৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের তৎকালীন কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আখন্দ কুচবিহারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে আবার মাঝপথ থেকে ফিরে এসেছিলেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।