জাপানে স্বামী-স্ত্রীর নামের পদবী এক হতে হবে
জাপানের স্বামী-স্ত্রীর নামের পদবী অবশ্যই এক হতে হবে বলে দেশটির সুপ্রীম কোর্ট নির্দেশ জারি করেছে। তবে নারী অধিকার কর্মীরা বলছেন, আইনটি অসাংবিধানিক।
জাপানের সংবিধানে বৈষম্য পরিহারের কথা বলা হলেও এটি বৈষম্যমূলক। কারণ সিংহভাগ দম্পতির ক্ষেত্রেই স্বামীর পদবি স্ত্রীর নামের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। তবে আদালত তার রায়ে বলেছেন, আইনটি অসাংবিধানিক নয়।
সেখানকার নারী অধিকার কর্মীরা বহুদিন ধরে আন্দোলন করছে বিয়ের পরও যেন মেয়েরা তাদের সারনেম বা নামের পদবী ধরে রাখতে পারে। জাপানের ৯৬ শতাংশ নারী বিয়ের পর তাদের স্বামীর নামের পদবীই গ্রহণ করে।
জাপানে আগে নারীরা বিয়ের পরও তাদের পারিবারিক নাম ধরে রাখতে পারতো। কিন্তু ১৮৯৮ সালে নিয়ম পরিবর্তন করা হয় এবং পরিবারের সব মহিলা এবং শিশুদের জন্য পরিবারের পুরুষ প্রধানের নাম ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়।
জাপানে বিবাহ বিচ্ছেদের ৬ মাসের মধ্যে নারীদের আবার বিয়ে করা নিষেধ। কিন্তু পুরুষদের বেলায় এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। তবে আদালত এখন বিচ্ছেদের ৬ মাসের মধ্যে নারীদের আবার বিয়ে করার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
জাপানের আদালতে নারীদের স্বামীর পদবী গ্রহণের বাধ্য-বাধকতা চ্যালেঞ্জ করেছিলেন তিন নারী এবং এক দম্পতি। এরা তাদের আবেদনে বলেছিলেন, এই নিয়ম অসাংবিধানিক।
জেডএইচ/এমএস