জার্মানির বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন
জার্মানির বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) বার্লিনস্থ দূতাবাসে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জার্মানির বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মো. মোশারফ হোসেন ভূইঁয়া; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল্লা আল মাসুদ চৌধুরী; জার্মান ভেরিডস কোম্পানির প্রধান নির্বাহী (সিইও) আন্দ্রেস রাশমির প্রমুখ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. শরীফ মাহমুদ অপু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক মুজিববর্ষে ই-পাসপোর্ট সাধারণ জনগণের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ২০১০ সালে সরকার মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ও বাংলাদেশ ভ্রমণেচ্ছু বিদেশি নাগরিকদেরকে মেশিন রিডেবল ভিসা প্রদান করে।
মন্ত্রী জানান, বর্তমানে ৭৩টি বিদেশি মিশনে এমআরপি ও এমআরভি সেবা চালু রয়েছে। প্রবর্তনের পর থেকে আজ পর্যন্ত তিন কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার এমআরপি ইস্যু করা হয় ও ১৬ লাখ ১৯ হাজার এমআরভি ইস্যু করা হয়।
তিনি বলেন, এমআরপি ও এমআরভির প্রবর্তন করে সরকার এই সেবার আধুনিকায়ন বন্ধ করেনি। গত বছরের ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বর্তমান বিশ্বের সর্বাধুনিক ই-পাসপোর্টের উদ্বোধন করে বলেন, ‘ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশের জনগণের জন্য মুজিববর্ষের উপহার।’
‘যুগের চাহিদা ও উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জাতীয় অবস্থান, মর্যাদা সুসংহত করার লক্ষ্যে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন ও চালুর উদ্যোগ নেয়। এরই মধ্যে বাংলাদেশের সব পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। বিমানবন্দরে ই-গেইট স্থাপন করা হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম। এমনকি উন্নত দেশগুলোর স্বল্প সংখ্যক দেশে এটা স্থাপিত হয়েছে।’ এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তার সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের মধ্যে জার্মানির বার্লিনে প্রথম ই-পাসপোর্টের রুল আউট আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব দূতাবাসে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরু হবে। এরই মধ্যে ই-পাসপোর্টের জন্য প্রায় ১৫ লাখ আবেদন জমা হয়েছে। প্রায় ১০ লাখ ই- পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আইয়ূব চৌধুরী বলেন, ‘বতর্মানে দেশের ৬৪টি জেলার ৬৯টি অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই দেশের ৮০টি মিশনে এর কার্যকারিতা শুরু হবে।
অনুষ্ঠানে জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশারফ হোসেন ভূইঁয়া বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নেতৃত্বের গুণাবলি ধারণ করে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি বলিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ কূটনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাসহ জার্মানিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা অংশ নেন।
এমইউ/এআরএ/এমএস