সাফ প্রস্তুতির পরীক্ষা নেপালের বিপক্ষে
দক্ষিণ এশিয়ান অঞ্চলের (সাফ) বিশ্বকাপ যেন ‘সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ’। এবার পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের নামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাফ-সুজুটি চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারতের কেরালায় ২৩ ডিসেম্বর থেকে বসছে সাফের ১১তম আসর। এ টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার লক্ষ্যে ২০ ডিসেম্বর ভারত যাচ্ছে মামুনুলরা। তার আগে নিজেদের প্রস্তুতিটা কেমন হলো, সেটা জেনে নিতেই আমন্ত্রণ জানানো হলো নেপাল ফুটবল দলকে। আগামীকালই (বৃহস্পতিবার) বিকালে নেপালের বিপক্ষে নিজেদের প্রস্তুতি পরখ করে নিতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।
মাঠে তো খেলা দিয়ে প্রমান দেবেন প্রস্তুতিটা কেমন। তার আগে আসলেই কেমন প্রস্তুতি নিয়েছন বাংলাদেশ দলের ফুটবলাররা, সেটা জানাতেই আয়োজন করা হলো সংবাদ সম্মেলন। অথচ, এই সংবাদ সম্মেলনে হাজির ছিলেন না কোচ মারুফুল হক কিংবা অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম। বাফুফে ভবন থেকে সাভারের জিরানিস্থ বিকেএসপি’র দুরত্ব অনেক। সেখানে প্রস্তুতিরত ফুটবল দলের অনুশীলনে ব্যাঘাত ঘটাতে চাননি কোচ। এমনকি অধিনায়ককেও সে কারণে ছাড়েননি তিনি। কারণ, বিকেএসপি থেকে মতিঝিলের বাফুফে ভবনে আসতে সময় লাগে অনেক বেশি। তবে, বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হওয়ার অপেক্ষায় কোচ মারুফুল হক।
সাফের প্রস্তুতি সম্পর্কে মোবাইল ফোনে সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে মারুফুল হক বলেন, ‘আমরা অনুশীলন শুরু করেছি গত মাসের ২৯ তারিখ। এর মধ্যে ১৭টা দিন পেয়েছি। আমাদের মূল লক্ষ্য সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। এই ১৭ দিনের ট্রেনিংয়ে যে স্টাইলটা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছি, তার কতটা উন্নতি হয়েছে, সেটারই একটা পরীক্ষা হবে নেপাল দলের বিরুদ্ধে, আগামীকালের ম্যাচে। এখানে জয় বা হার বড় কথা না।’
ইনজুরিতে রয়েছেন ফরোয়ার্ড জাহিদ হাসান এমিলি। বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বাবু জানান, আপাতত এমিলিছাড়া পুরো দলের অবস্থা বেশ ভালো। মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়াকে নিয়ে যে অনিশ্চয়তা ছিল, সেটাও কাটিয়ে উঠেছেন তিনি। ফিরেছেন ক্যাম্পে। জামাল ভূঁইয়ার সাফের দলে থাকার ব্যাপারে আশাবাদী ম্যানেজার বাবু।
সাফের জন্য চূড়ান্ত দল তৈরী করার দিকেই সবচেয়ে বেশি মনযোগ কোচ মারুফুল হকের। ম্যানেজারই জানিয়েছেন বিষয়টা। তিনি জানান, সাফের জন্য দলকে তৈরি করতে গত কয়েক দিনে তিন বেলা করেও দলকে অনুশীলন করিয়েছেন মারুফুল। যদিও মঙ্গলবার থেকে আবার একবেলা করে ট্রেনিং চলছে।
সংবাদ সম্মেলন করেছেন সফরকারী নেপাল জাতীয় দলের কোচ এবং অধিনায়কও। কোচ প্যাট্রিক উইনান্ড অসিমসের বাংলাদেশ সম্পর্কে খুব একটা ধারনা নেই। তারপরও যতটুকু জেনেছেন, বাংলাদেশকে শক্ত প্রতিপক্ষই মানছেন তিনি, ‘এই ম্যাচটা পেয়ে আমি খুবই খুশি। সাফের আগে এই ম্যাচটা খুব কাজে আসবে আমাদের। বাংলাদেশ শক্ত প্রতিপক্ষই। তারপরও সাফের আগে এই ম্যাচটায় জয় চাই আমরা। জয় পেলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।’
দলীয় অধিনায়ক অনীল গুরং অবশ্য এই বাংলাদেশকে বেশ ভালোভাবেই চেনেন। এর আগে সাফে বাংলাদেশের বিপক্ষে এক গোল করেছিলেন তিনি। গুরং বলেন, ‘এই ম্যাচটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেননা নিজেদের ভুলগুলো এই ম্যাচ দিয়ে শুধরে নিতে পারবো। বাংলাদেশ কঠিন দল। তারপরও আমরা জিতবো বলেই আশাবাদী।’
আইএইচএস/পিআর