৬৮ বছর পর দাসিয়ারছড়ায় বিজয় দিবস উদযাপন
দাসিয়ারছড়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের দাবিতে বাংলাদেশি হিসেবে প্রথম বিজয় দিবস উদযাপন করলো কুড়িগ্রামের বিলুপ্ত দাসিয়ারছড়াবাসী। বাংলাদেশের ৪৫তম স্বাধীনতা দিবসে পদার্পণ উপলক্ষে বুধবার সকাল থেকে দাসিয়ারছড়ার সর্বত্র আনন্দ-উদ্দীপনায় শিশু-কিশোরসহ সব বয়সীরা হাতে লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে জয়বাংলা ও বিজয় দিবসের স্লোগানে মিছিলে সমবেত হয়। ৬৮ বছর পর স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে বিজয় দিবস পালন করতে পেরে আনন্দে আত্মহারা তারা।
বুধবার সকাল ৯ টায় দাসিয়ারছড়ার কালিরহাট বাজারে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। সাবেক ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি, আওয়ামী লীগ, তার সহযোগী অঙ্গ সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ এলাকাবাসী শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসে। স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নিরবতা ও দোয়া শেষে বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাধীন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে এই প্রথম বাংলাদেশিদের সঙ্গে বিজয় দিবস পালন করতে পেরে খুশি দাসিয়ারছড়াবাসী। এর আগে রাত ১২টা ১মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করে। এছাড়াও দাসিয়ারছড়ার বিভিন্ন গ্রামে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, র্যালি, সমাবেশ, মসজিদ মন্দিরে প্রার্থনা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
দাসিয়ার শিক্ষার্থী আয়েশা খাতুন, মনি আক্তার বলেন, এই প্রথম দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা বিজয় দিবস পালন করছি। জীবনের সবচেয়ে আনন্দঘন মুহূর্ত এটি মনে হচ্ছে। এ সময় দাসিয়ারছড়ায় একটি স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপনের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
বিনিময় কমিটির সাবেক নেতা আলতাফ হোসেন বলেন, আমরা বিজয়ের সাধ গ্রহণ করলাম আজ। লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশের নাগরিক হয়েছি আমরা। সেইসব শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে এখানে আমরা সমবেত হয়েছি।
সাবেক আর এক নেতা গোলাম মোস্তফা বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন। ছিটমহলবাসীর স্বাধীনতার চুক্তি করে গেছেন। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মুক্তি দিয়েছে। আমি দাসিয়ারছড়ার মানুষের পক্ষ থেকে এখানে জাতির জনকের একটি ভাস্কর্য স্থাপনের দাবি করছি।
নাজমুল হোসেন/এসএস/এমএস