বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন শুরু
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) কার্যালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।
বৃদ্ধা আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি চালুর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ উল্লেখ করে তারানা হালিম, কিছু জটিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে সুন্দরভাবেই আমরা বায়োমেট্রিক সিম রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতি চালু করলাম।
আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে সব সিম রেজিস্ট্রেশন শেষ করার প্রত্যাশা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সঠিকভাবে সিম নিবন্ধন না করা হলে ওই সিম বন্ধ করে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে গ্রাহক উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে পারলে বন্ধ সিম চালু করার বিষয়ে বিবেচনা করবে সরকার।
অনুষ্ঠানে মোবাইল অপারেটরগুলোর প্রতিনিধিরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাজাহান মাহমুদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় নিজের নামে একটি সিমের নিবন্ধনের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির উদ্বোধন করেন। ১ নভেম্বর থেকে মোবাইল অপারেটরগুলো পরীক্ষামূলকভাবে এ কার্যক্রম শুরু করে। পরীক্ষামূলকভাবে নিবন্ধন শুরুর পর এনআইডি’র তথ্যের সঙ্গে সিমকার্ডের গ্রাহকের তথ্যের মিল পাওয়া যাচ্ছিল না বলে অপারেটর এবং গ্রাহকরা অভিযোগ করেছিল। অক্টোবরে বিটিআরসির প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ৬টি মোবাইল অপারেটরের মোট গ্রাহক সংখ্যা ১৩ কোটি ১৯ লাখ ৯৬ হাজার।
আরএম/এসআইএস/এমএস