দিবস ভিত্তিক সাজ-সজ্জা
বাঙালি মনে-প্রাণে পোশাক সচেতন। কখন কোন পোশাক পরতে হয় তা ভালো করেই জানা আছে তাদের। যাদের সামর্থ্য আছে তারা দিবস ভিত্তিক পোশাক পরে থাকেন। আমাদের জাতীয় জীবনের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই পোশাক তৈরি করে দেশি ফ্যাশন হাউজগুলো।
আজ মহান বিজয় দিবস। বিজয় দিবসের জন্য তৈরি করা হয় লাল-সবুজের পোশাক। নারী-পুরুষ এমনকি শিশুদের জন্যও রয়েছে বিজয়ের পোশাক। দিবসটিকে উদযাপন করতে গিয়ে চারিদিকে কেবল লাল-সবুজের অপূর্ব সমন্বয় চোখে পড়ে। জাতীয় এ দিবসটিকে ঘিরে ফ্যাশন সচেতন তরুণ-তরুণীদের ট্রেন্ড ফ্যাশনেও আসে পরিবর্তন। জাতীয় পতাকার প্রিয় লাল-সবুজ রঙের আদলে গড়ে ওঠা বিভিন্ন পোশাকাদিতে সেজে ওঠে দিনটি।
ফ্যাশন হাউজগুলোতে পাওয়া যায় ছেলে-মেয়েদের টি-শার্ট, ফতুয়া, শাল, পাঞ্জাবি, শার্ট, মেয়েদের সালোয়ার-কামিজ, শাড়ি, টপস, মাথার ব্যান্ডানা, হাতের ব্যান্ড, ব্রেসলেট, চুড়ি ও স্কার্ফ।
এ সমস্ত পোশাকে কারুকাজ হিসেবে ব্যবহার করা হয় হাতের কাজ, এমব্রয়ডারি, স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক, কারচুপি ও অন্যান্য কাজ। শীতের জন্য একটু মোটা কাপড়ে তৈরি করা হয় এবং পোশাকে রং নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিজয়ের প্রচলিত লাল-সবুজের পাশাপাশি অন্যান্য রংগুলো আসে পোশাক ও বিজয় দিবসের মর্যাদার সঙ্গে সমন্বয় রেখে।
দেশের স্বনামধন্য বেশকয়েকটি পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ডিসেম্বর আসার আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে থাকে। এবছর ডিসেম্বরে কেমন ডিজাইন থাকবে। কী স্পেশ্যালিটি আনা যায় পোশাকে। চলে প্রচার-প্রচারণার কাজ। বিশেষ দিবস উপলক্ষে দেওয়া হয় বিশেষ ছাড়।
তবে দেশের সব দিবস ঘিরেই দেশি ফ্যাশন হাউজগুলো তাদের নিজস্বতা ধরে রাখে। এরমধ্যে কে ক্র্যাফ্ট, অঞ্জন’স, নগরদোলা, ফড়িং, কাজী ক্রাফট, বাসন্তী, বিবিআনা, লাল সাদা নীল হলুদ, সমীকরণ, ওজি ও দর্জি বাড়ি উল্লেখযোগ্য।
এসইউ/এমএস