ঢাকার প্রথম ডাকঘরের এখন বেহাল দশা!
ই-মেইল বা সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগে চিঠি পাঠানো এখন যেন বিরল। তবুও সম্প্রতি অর্থনৈতিক লেনদেনের বিভিন্ন সেবা চালু করে ডাক বিভাগ ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। বিদেশ থেকে টাকা লেনদেন, টাকা জমা রাখা, মোবাইল ব্যাংকিং নগদ চালু করে নতুন মাত্রা পেয়েছে দেশের ডাক বিভাগ।
অথচ, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ডাকঘরগুলোয় জীর্ণদশা বিরাজ করছে। চিঠিহীন যুগে ডাকঘর যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছে। এ অবস্থা থেকে মুক্ত নয় দেশের অন্যতম প্রাচীন ডাকঘর ঢাকা সদরপ্রধান ডাকঘরটিও। পুরান ঢাকার বাংলাবাজারে অবস্থিত ঢাকার প্রথম ডাকঘরের এখন বেহাল দশা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ডাকঘরের আঙিনার চারপাশে ময়লা আবর্জনা পড়ে আছে৷ অফিসের ভেতর অবস্থিত শৌচাগারগুলো থেকে আসছে তীব্র দুর্গন্ধ। ভেতরের পুরাতন আসবাবপত্র দিয়েই চলছে কার্যক্রম। সেবা নিতে আসা মানুষের ভালোভাবে বসার স্থান নেই। দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে সেবা নিতে হয়।
আরও দেখা যায়, পুরাতন জীর্ণ-শীর্ণ ভবনে চলছে ডাকঘরের কার্যক্রম। দেয়াল থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। রঙ চটে গেছে অনেক আগেই। এককথায় এ যেন এক পোড়াবাড়ি। অথচ এটাই রাজধানীর বুকে অবস্থিত ঢাকা সদর প্রধান ডাকঘর!
ডাকঘরটিতে সেবা নিতে আসা হারুন চৌধুরী নামের একজন গ্রাহক বলেন, ঢাকার প্রথম ডাকঘর হিসেবে এটি খুব প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী। কিন্ত চাহিদা অনুযায়ী ডাকঘরের সংস্কার খুব জরুরি। বর্তমানে আমাদের এখানে থেকে সেবা নিতে খুব কষ্ট হয়। এখানে কোনো কাজে আসলেই বসার জন্য ভালো পরিবেশনেই। পাশের শৌচাগার থেকে সবসময় দুর্গন্ধ আসতে থাকে। যা খুবই বিব্রতকর। ইচ্ছা করলেই ডাকঘরটিকে ময়লা-আবর্জনা ও দুর্গন্ধমুক্ত রাখা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ডাকঘরটির কর্মকর্তা নাজনীন শফি জানান, এ ভবন বহু পুরাতন। এখানে নানারকম সমস্যা আছে। তবে শিগগিরই এই ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। তখন ইনশাআল্লাহ সমস্যা থাকবে না।
রায়হান/এসএইচএস/জেআইএম