সম্ভবত আমি খুব ভাগ্যবান : মাশরাফি
শুরুতেই প্রশ্ন ছিল, বিপিএলের তিন আসরেই চ্যাম্পিয়ন আপনি। কীভাবে এটা সম্ভব হলো? মাশরাফি হেসে জবাব দিলেন, ‘সম্ভবত আমি খুব ভাগ্যবান। এ কারণে তিনটি বিপিএলই জিতেছি। এতোদিন বলছিলাম টানা তিন বিপিএলের ফাইনাল খেলছি। এবার বলতে পারছি, টানা তিন বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন আমি। আসলে ভাগ্যবান না হলে এটা তো সম্ভব হতো না।’
মাশরাফি ভাগ্যবান কি-না তা তার সাফল্য দেখলেই বোঝা যায়। প্রথম দুই বিপিএলে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে শিরোপা জিতিয়েছিলেন দুর্দান্ত একটি দল নিয়ে। অথচ, এবার জিতলেন একেবারে ভাঙাচোরা একটি দল নিয়ে। ফাইনালে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ বলে জয় তুলে নিলো মাশরাফির দল।
টানা তিন বিপিএলের শিরোপা হাতে ওঠার পর ভাগ্যকে তো কৃতিত্ব দিলেনই। তবে আসল কৃতিত্বটা কিন্তু মাশরাফি দিলেন কোচ সালাউদ্দিনকে। তিনি বলেন, ‘আমরা যারা খেলি তাদেরকে তো সবাই দেখে। কিন্তু নেপথ্যে যিনি থাকেন তাকে কেউ দেখে না। জানেও না। আসলে এই দলটির এমন সাফল্যের মূল কারণই হলো কোচ সাল্লু (সালাউদ্দি) ভাই। তিনিই এই দলটাকে গঠন করেছেন। শুরু থেকে অনেক কাজ করেছেন। অনেক পরিকল্পনা করেছেন। কার কী সমস্যা আছে সব ঠিক করেছেন। সবাই যাতে নিজ নিজ জায়গা থেকে ভূমিকা রাখতে পারে সেটা নিশ্চিত করেছেন।’
তবে সতীর্থদের কথা বলতেও ভুলে গেলেন না মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘সবার আগে অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব দলের সব খেলোয়াড়ের। সবার আন্তরিক সহযোগিতায়, চেষ্টায় এবং পারফরম্যান্সে আমরা এই সাফল্যটা পেয়েছি। সবাই হয়তো শেষ মুহূর্তে ফিনিশার অলকের কথা বলছে; কিন্তু কেউ তো ইমরুলের কথা বলছে না। ইনিংসটা তো সেই গড়ে দিয়ে গেছে। ফিনিশিংটা দিয়েছে অলক। সব মিলিয়ে সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে পারফর্ম করেছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।’
অলক কাপালির প্রশংসা ঝরে পড়েছে মাশরাফির মুখ থেকে। তিনি বলেন, ‘আমি দেখেছিলাম তার মধ্যে এখনও সম্ভাবনা আছে। এ কারণেই তাকে দলে নিয়েছি। এমনকি আজ যেভাবে তাকে খেলানো হয়েছে, এটা স্রেফ তার অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন। আমি মনে করেছি, কঠিন কোনো পরিস্থিতিতে অভিজ্ঞতাই পারে সেটা সামাল দিতে। নতুনরা হয়তো ওই সময় ভেঙে পড়ে। তো অলক সেটা পেরেছে এবং শেষ পর্যন্ত তাকে দেখেছি খুব শান্ত থাকতে। এ কারণেই সে ম্যাচটা শেষ করে আসতে পেরেছে।’
আইএইচএস/বিএ