যে জুটিতে বরিশালের লড়াইয়ের পুঁজি
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জয়ের নায়ক ছিলেন সাব্বির-শাহরিয়ার। এই দুই ব্যাটসম্যানের ১২৪ রানে টুর্নামেন্টের ফেভারিট রংপুর রাডার্সকে বিদায় করে দিয়েছিল তারা। ফাইনালেও তেমন পূর্বাভাষ দিচ্ছিলেন এ দুইজন; কিন্তু দলীয় ৬৮ রানে সাব্বিরকে মাশরাফি বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠালেও বরিশালের কোন সমস্যা হতে দেননি নাফীস। মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে এদিন দারুণ জুটি গড়ে তোলেন তিনি।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৮১ রানের দারুণ জুটি গড়ে দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন এই দুই ব্যাটসম্যান। দুইজনই অর্ধশত রানের খুব কাছে থেকেও শেষ পর্যন্ত তা পূরণ করতে পারেননি। কুলাসেকেরার বলে বোল্ড হয়ে মাহমুদউল্লাহ ৪৮ রানে ফিরে গেলেও শেষ পর্যন্ত একপ্রান্ত আগলে রেখে অপরাজিত থাকেন নাফীস।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই বরিশাল বুলস টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ভুগছিল। ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইলের অন্তর্ভুক্তিতে সে সমস্যা দূর হয় তাদের। তবে বিগ ব্যাশ খেলতে গেইল চলে গেলে তার জায়গায় স্থান পেয়ে দারুণ ভাবে জ্বলে ওঠেন শাহরিয়ার নাফীস।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। ৩৬ বল মোকাবেলা করে ৬টি চার ১টি ছক্কার সাহায্যে এই রান করেন অধিনায়ক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে নাফীসের ব্যাট থেকে। ৩১ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন এক সময়ের নিয়মিত বাংলাদেশে জাতীয় দলের এই ব্যাটসম্যান। তবে এদিন তিনি চারের চেয়ে ছক্কা মারায় মনযোগী ছিলেন বেশি। তার ইনিংসটি ২টি চার এবং ৩টি ছক্কা দিয়ে সাজানো।
আরটি/ আইএই্চএস/আরআইপি