নওগাঁয় পৌরসভায় জোর প্রচার প্রচারণা


প্রকাশিত: ০২:৪১ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫

প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই নওগাঁয় দুটি পৌরসভায় জোর প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই মাইকের শব্দে কান ঝালাপালা হয়ে যায় পৌরবাসীদের। ইতোমধ্যে পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে দুই পৌরসভার অলি-গলি ও রাস্তাঘাট।

সোমবার দুপুরে নওগাঁ পৌরসভার স্বতন্ত্র মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া শেষ হয়। বেলা ২টার পর থেকেই মাইকে প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক উল্লে­খ করে প্রচারণা শুরু হয়ে যায়। তবে প্রতীক বরাদ্দের আগে বা মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণায় নিয়ম ভাঙার কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

নওগাঁ ও নজিপুর পৌরসভার বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেলা দুইটার পর থেকে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণায় সরগরম পুরো পৌরসভা। অটোরিকশা, ইজিবাইক, ভ্যান ও রিকশায় মাইক বেঁধে চালাচ্ছে বিরামহীন প্রচারণা।

নওগাঁ শহরের উকিলপাড়া এলাকার রাহি জাগো নিউজকে জানান, নির্বাচনে জয়ী হলে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা পৌর এলাকার উন্নয়ন করার চেয়ে নিজেদের উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এ কারণে রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা বেহাল অবস্থা।

একই এলাকার হাবিবুর রহমান জানান, প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও তারা কোন সুযোগ সুবিধা পান না। এমনকি পৌর কর বৃদ্ধি করা হলেও পৌর বাসি জানতে পারেন না।

ডিগ্রির মোড় রাস্তায় অটোরিকশা চালক মো. ছাবের জাগো নিউজকে জানান, অমুক-তমুক পৌর মেয়র বা কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে জয়ী তাদের কিছু উন্নয়ন হবার নয়। লাইসেন্সের জন্যে পৌরসভাকে টাকা দিতে হয়। অথচ পৌরসভার রাস্তাঘাটের কোনো উন্নয়ন নেই।

শহরের মাস্টারপাড়ার বৃদ্ধ নিজাম উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, প্রার্থীরা প্রতীক পাওয়ার পর থেকে মাইকের বিকট শব্দে কান ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন যদি মাইকে প্রচারণা বন্ধ করতো, তা হলে খুবই ভালো হতো।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জাগো নিউজকে জানান, মাইকে প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণা চালাতে পারবেন। তবে দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। এছাড়া হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে মাইক বাজানো যাবে না।

নওগাঁ পৌরসভায় এখন চারজন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তারা হলেন, নওগাঁ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণ, বর্তমান পৌর মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নজমুল হক সনি, স্বতন্ত্র-আবদুল ওয়াহাব ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-শহিদুল ইসলাম। পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ৪৬ জন এবং তিনটি সংরক্ষিত (মহিলা) কাউন্সিলর পদে ১৪ জন।

অপরদিকে, পত্নীতলা নজিপুর পৌরসভার মেয়র প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রেজাউল কবির চৌধুরী বাবু, বর্তমান পৌর মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন, উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী। ৯টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ৩৬ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১২ জন।

আব্বাস আলী/এমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।