কঠোর আযাব ভোগ করবে যারা
মানুষের ভালো-মন্দ বিষয়গুলো কুরআন এবং হাদিসে স্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে। তাছাড়া বুজুর্গানে দ্বীনগণও বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে অন্যায়-অনাচার থেকে হিফাজত থাকার কথা বলেছেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিন শ্রেণীর মানুষের ব্যাপারে সতর্কবাণী দিয়েছেন। তা হলো-
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন তিন শ্রেণীর (মানুষের) সঙ্গে আল্লাহ তাআলা কথা বলিবেন না। এমনকি তাদের প্রতি দয়ার দৃষ্টিতেও তাকবেন না। বরং তাদেরকে কঠিন আজাবে নিপতিত করিবেন।
১. বৃদ্ধাবস্থায় ব্যভিচারকারী : ইহার অর্থ এই নয় যে, যৌবন অবস্থায় ব্যভিচার করা দোষণীয় নয়। ব্যভিচার যৌবনাবস্থায়ও মারাত্মক অপরাধ। কিন্তু বৃদ্ধাবস্থায় যখন যৌনক্ষুধা নিবৃত প্রায় এবং মৃত্যু সন্নিকটে বিধায় এহেন গর্হিত কর্ম সীমাহীন জঘন্য অন্যায় বলে পরিগণিত।
২. মিথ্যাবাদী শাসক : মিথ্যা সকলের জন্যই মারাত্মক অপরাধ। শাসকের কথা বলা হয়েছে এ জন্য যে, বাদশাহ তো কারো ভয়ে ভীত নয় এবং কারো বাধ্যও নয়। এতদ্বসত্ত্বেও শাসকের মিথ্যা বলাসাধারণ মানুষ অপেক্ষা সাংঘাতিক অপরাধ।
৩. অহংকারী দরিদ্র : অহংকার বাদশাহ-ফকির, ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নীচু, ছোট-বড় সবার বেলাই মারাত্মক অপরাধ। কিন্তু দরিদ্র মানুষের অহংকার করা বড়ই আশ্চর্যের বিষয়। কেননা তার মধ্যে অহংবোধ জাগ্রত হওয়ার কোনো কারণ বিদ্যমান না থাকা সত্ত্বেও যদি সে অহংকার করিয়া বসে।
সুতরাং মানুষ যুবক হোক আর বৃদ্ধ হোক ব্যভিচার থেকে হিফাজত থাকা, রাজা হোক আর প্রজা হোক মিথ্যা পরিহার করা, ধনী হোক আর গরিব হোক অহংকার থেকে মুক্ত থাকা আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে উপরোক্ত তিনটি বিষয় থেকে হিফাজত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/আরআইপি